সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোটে ভোট করলেও নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন : ইসি

জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)।সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে কমিশনের মুলতবি সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।

তিনি জানান, সব আসনে ‘না’ ভোটের বিধান থাকবে না, তবে একক প্রার্থী থাকলে ‘না’ ভোট থাকবে এবং সেই প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। জোট থাকলেও ভোটারকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট দিতে হবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় এবার সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে কমিশনের আরও ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

এ ছাড়া ইভিএম ব্যবহারের বিধান আরপিও থেকে বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি স্পষ্ট করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ইসিকে জানাতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

২০০৮ সালে নির্বাচনগুলোতে ‘না’ ভোটের বিধান ছিল সব আসনে। পরে নবম সংসদে এটি বাতিল হয়। এবার ‘না’ ভোটের বিধান সব আসনে না থাকলেও একক প্রার্থী থাকলে তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে লড়াই করতে হবে, যা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ বন্ধ করবে।নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, একক প্রার্থী থাকলে তিনি বিনা ভোটে নির্বাচিত হবেন না।

তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। যদি পুনরায় ‘না’ ভোট বিজয়ী হয়, তখন ওই প্রার্থী নির্বাচিত হবেন।চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবটি আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকারের অনুমোদন পেলে এটি সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমে জারি হবে এবং প্রয়োজন হলে ঐকমত্য কমিটির সুপারিশ যুক্ত করা হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

জোটে ভোট করলেও নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন : ইসি

প্রকাশিত সময় : ১১:২৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)।সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে কমিশনের মুলতবি সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।

তিনি জানান, সব আসনে ‘না’ ভোটের বিধান থাকবে না, তবে একক প্রার্থী থাকলে ‘না’ ভোট থাকবে এবং সেই প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। জোট থাকলেও ভোটারকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট দিতে হবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় এবার সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে কমিশনের আরও ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

এ ছাড়া ইভিএম ব্যবহারের বিধান আরপিও থেকে বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি স্পষ্ট করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ইসিকে জানাতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

২০০৮ সালে নির্বাচনগুলোতে ‘না’ ভোটের বিধান ছিল সব আসনে। পরে নবম সংসদে এটি বাতিল হয়। এবার ‘না’ ভোটের বিধান সব আসনে না থাকলেও একক প্রার্থী থাকলে তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে লড়াই করতে হবে, যা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ বন্ধ করবে।নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, একক প্রার্থী থাকলে তিনি বিনা ভোটে নির্বাচিত হবেন না।

তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। যদি পুনরায় ‘না’ ভোট বিজয়ী হয়, তখন ওই প্রার্থী নির্বাচিত হবেন।চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবটি আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকারের অনুমোদন পেলে এটি সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমে জারি হবে এবং প্রয়োজন হলে ঐকমত্য কমিটির সুপারিশ যুক্ত করা হবে।