রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার হতে পারবেন প্রবাসীরা

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন থেকে কারো পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২০ আগস্ট) স্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সংশোধন করায় এমন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খানের সই করা এসওপি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী এনআইডিধারী তিনজন প্রবাসীর কাছ থেকে বাংলাদেশি মর্মে প্রত্যয়নপত্র জমা দিলেই হবে।

এ ছাড়াও যেসব বিষয়গুলো লাগবে তার মধ্যে রয়েছে-

অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র ফরম-২(ক); নির্বাচন কমিশনের ‘বিশেষ এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬টি উপজেলা/থানার জন্য অতিরিক্ত তথ্য সংবলিত বিশেষ তথ্য ফরম; মেয়াদ সংবলিত বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/বিদেশি পাসপোর্টের কপি; বাংলাদেশি জন্মনিবন্ধন সনদের কপি (অনলাইন ভেরিফাইড); পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি রঙিন ছবি; আবেদনকারীর পিতা মাতার এনআইডির কপি/বাংলাদেশি অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের কপি/বাংলাদেশি মৃত্যু সনদের কপি (মৃত হলে)/পাসপোর্টের কপি/ওয়ারিশ সনদের কপি/বাংলাদেশের বাসিন্দা মর্মে নাগরিক সনদের কপি*/দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); শিক্ষা সনদের কপি (এসএসসি/সমমানের সার্টিফিকেট/জেএসসি/পিইসি সনদ) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); ড্রাইভিং লাইসেন্স/টি.আই.এন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), নিকাহনামা এবং স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); আবেদনকারীর নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান/মেয়র/সিইও/প্রশাসক কর্তৃক) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); সংশ্লিষ্ট ঠিকানা সংবলিত ইউটিলিটি বিলের কপি/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

এক্ষেত্রে আবেদনপত্র, পাসপোর্টের কপি/তিন এনআইডিধারী প্রত্যয়নপত্র, ফটো, জন্মসনদ বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হবে।

এসওপিতে আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য দলিলাদিও নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দেওয়া যাবে। সম্ভব না হলে আবেদনকারীর পক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রতিনিধির মাধ্যমে উক্ত দলিলাদি তদন্তকারী কর্মকর্তা তথা রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার) কাছে জমা দেওয়া যাবে।

নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের ফলে দীর্ঘদিন ধরে যারা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কারণে ভোটার হতে পারছিলেন না, তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলো। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের পথে বড় অগ্রগতি হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে নয়টি দেশের ১৬টি স্টেশনে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি। দেশগুলো হলো—সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা।

এসব দেশ থেকে প্রায় ৫০ হাজার আবেদন এসেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার হতে পারবেন প্রবাসীরা

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন থেকে কারো পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২০ আগস্ট) স্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সংশোধন করায় এমন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খানের সই করা এসওপি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী এনআইডিধারী তিনজন প্রবাসীর কাছ থেকে বাংলাদেশি মর্মে প্রত্যয়নপত্র জমা দিলেই হবে।

এ ছাড়াও যেসব বিষয়গুলো লাগবে তার মধ্যে রয়েছে-

অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র ফরম-২(ক); নির্বাচন কমিশনের ‘বিশেষ এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬টি উপজেলা/থানার জন্য অতিরিক্ত তথ্য সংবলিত বিশেষ তথ্য ফরম; মেয়াদ সংবলিত বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/বিদেশি পাসপোর্টের কপি; বাংলাদেশি জন্মনিবন্ধন সনদের কপি (অনলাইন ভেরিফাইড); পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি রঙিন ছবি; আবেদনকারীর পিতা মাতার এনআইডির কপি/বাংলাদেশি অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের কপি/বাংলাদেশি মৃত্যু সনদের কপি (মৃত হলে)/পাসপোর্টের কপি/ওয়ারিশ সনদের কপি/বাংলাদেশের বাসিন্দা মর্মে নাগরিক সনদের কপি*/দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); শিক্ষা সনদের কপি (এসএসসি/সমমানের সার্টিফিকেট/জেএসসি/পিইসি সনদ) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); ড্রাইভিং লাইসেন্স/টি.আই.এন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), নিকাহনামা এবং স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); আবেদনকারীর নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান/মেয়র/সিইও/প্রশাসক কর্তৃক) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); সংশ্লিষ্ট ঠিকানা সংবলিত ইউটিলিটি বিলের কপি/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

এক্ষেত্রে আবেদনপত্র, পাসপোর্টের কপি/তিন এনআইডিধারী প্রত্যয়নপত্র, ফটো, জন্মসনদ বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হবে।

এসওপিতে আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য দলিলাদিও নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দেওয়া যাবে। সম্ভব না হলে আবেদনকারীর পক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রতিনিধির মাধ্যমে উক্ত দলিলাদি তদন্তকারী কর্মকর্তা তথা রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার) কাছে জমা দেওয়া যাবে।

নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের ফলে দীর্ঘদিন ধরে যারা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কারণে ভোটার হতে পারছিলেন না, তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলো। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের পথে বড় অগ্রগতি হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে নয়টি দেশের ১৬টি স্টেশনে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি। দেশগুলো হলো—সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা।

এসব দেশ থেকে প্রায় ৫০ হাজার আবেদন এসেছে।