বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্ঘটনার কবলে ইরান থেকে বিতাড়িত আফগানদের বাস, নিহত ৭১

আফগানিস্তানের পশ্চিম প্রদেশ হেরাতে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ১৭ শিশুসহ কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছেন। যাত্রীবাহী বাসটির সঙ্গে ট্রাক এবং মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের পর আগুন লেগে যায়।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ খবর আল জাজিরার।

নিহতদের মধ্যে ট্রাকের চালক, তার সহকারী এবং মোটর সাইকেলের চালক এবং যাত্রী— এই চার জন ছাড়া বাকি ৬৭ জনই বাসযাত্রী ছিলেন। ওই বাসের মাত্র তিনজন যাত্রী বেঁচে আছেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতিবেশী ইরান থেকে বিতাড়িত আফগানরা ছিলেন ওই বাসটিতে।

হেরাত প্রাদেশিক পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ সাইদি জানিয়েছেন, বাসটি ইরান থেকে কাবুলের দিকে আসছিল; যাত্রীরা সবাই আফগান নাগরিক। বাসটির বেপরোয়া গতি এবং চালকের অসতর্কতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট ইসলাম কালা থেকে সমস্ত যাত্রী গাড়িতে উঠেছিলেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস্কান্দার মোমেনির এক ঘোষণার পরদিনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে আরও ৮,০০,০০০ মানুষকে দেশ ত্যাগ করতে হবে।

এদিকে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ নিশ্চিত করেছেন, হতাহতদের ইরান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

নিহতদের বেশিরভাগই বাসের যাত্রী ছিলেন, তবে ট্রাকে থাকা দুইজন এবং মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুজন নিহত হয়েছেন।

কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের পর খারাপ রাস্তাঘাট, মহাসড়কে বিপজ্জনক গাড়ি চালানো এবং নিয়ন্ত্রণের অভাবের কারণে আফগানিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনা সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দুর্ঘটনার কবলে ইরান থেকে বিতাড়িত আফগানদের বাস, নিহত ৭১

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

আফগানিস্তানের পশ্চিম প্রদেশ হেরাতে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ১৭ শিশুসহ কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছেন। যাত্রীবাহী বাসটির সঙ্গে ট্রাক এবং মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের পর আগুন লেগে যায়।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ খবর আল জাজিরার।

নিহতদের মধ্যে ট্রাকের চালক, তার সহকারী এবং মোটর সাইকেলের চালক এবং যাত্রী— এই চার জন ছাড়া বাকি ৬৭ জনই বাসযাত্রী ছিলেন। ওই বাসের মাত্র তিনজন যাত্রী বেঁচে আছেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতিবেশী ইরান থেকে বিতাড়িত আফগানরা ছিলেন ওই বাসটিতে।

হেরাত প্রাদেশিক পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ সাইদি জানিয়েছেন, বাসটি ইরান থেকে কাবুলের দিকে আসছিল; যাত্রীরা সবাই আফগান নাগরিক। বাসটির বেপরোয়া গতি এবং চালকের অসতর্কতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট ইসলাম কালা থেকে সমস্ত যাত্রী গাড়িতে উঠেছিলেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস্কান্দার মোমেনির এক ঘোষণার পরদিনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে আরও ৮,০০,০০০ মানুষকে দেশ ত্যাগ করতে হবে।

এদিকে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ নিশ্চিত করেছেন, হতাহতদের ইরান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

নিহতদের বেশিরভাগই বাসের যাত্রী ছিলেন, তবে ট্রাকে থাকা দুইজন এবং মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুজন নিহত হয়েছেন।

কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের পর খারাপ রাস্তাঘাট, মহাসড়কে বিপজ্জনক গাড়ি চালানো এবং নিয়ন্ত্রণের অভাবের কারণে আফগানিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনা সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে।