রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমাম মাহাদী দাবি করা ‘নুরাল পাগলা’র দেহাবশেষ তুলে আগুন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা’র দেহবাশেষ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে তৌহিদী জনতা। এর আগে, সেখানকার দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউএনওর গাড়ি, পুলিশের দুইটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

খবর পেয়ে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার কামরুল ইসলামসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন

তৌহিদ জনতার একজন আল-আমিন বলেন, “নুরাল পাগলা একটা সময় (আশির দশকের মাঝামাঝি) নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করতেন। তার কর্মকাণ্ড ছিল শরিয়তবিরোধী। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এসব মেনে নিতে পারেনি। যে কারণে জনতা আজ নুরাল পাগলের দরবার শরিফ ভেঙে দিয়েছে। সেই সঙ্গে তার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলেছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৩শে আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয় নুরাল পাগলার। ওই দিন রাতে ভক্তদের অংশগ্রহণে জানাজার নামাজের পর মাটি থেকে কয়েক ফুটে উঁচুতে বিশেষভাবে তাকে কবর দেওয়া হয়। যেই বেদিতে তাকে কবর দেওয়া হয়েছে, সেখানে পবিত্র কাবা শরিফের আদলে রং করা হয়।

এরপর থেকে কবর নিচু, রঙ পরিবর্তন ও ইমাম মাহাদীর দরবার শরিফ লেখা সাইনবোর্ড অপসারণের দাবি তোলেন তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উভয়পক্ষকে নি‌য়ে এক‌টি সভাও হ‌য়ে‌ছে।

এছাড়া, উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সমাধানে এক‌টি কমিটিও গঠন করে। কবরের ব্যাপারে প্রশাসন নুরুল হকের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলে। পরিবার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছিল। শুক্রবার সেখানে হামলার ঘটনা ঘটল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইমাম মাহাদী দাবি করা ‘নুরাল পাগলা’র দেহাবশেষ তুলে আগুন

প্রকাশিত সময় : ০৯:০৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা’র দেহবাশেষ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে তৌহিদী জনতা। এর আগে, সেখানকার দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউএনওর গাড়ি, পুলিশের দুইটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

খবর পেয়ে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার কামরুল ইসলামসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন

তৌহিদ জনতার একজন আল-আমিন বলেন, “নুরাল পাগলা একটা সময় (আশির দশকের মাঝামাঝি) নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করতেন। তার কর্মকাণ্ড ছিল শরিয়তবিরোধী। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এসব মেনে নিতে পারেনি। যে কারণে জনতা আজ নুরাল পাগলের দরবার শরিফ ভেঙে দিয়েছে। সেই সঙ্গে তার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলেছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৩শে আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয় নুরাল পাগলার। ওই দিন রাতে ভক্তদের অংশগ্রহণে জানাজার নামাজের পর মাটি থেকে কয়েক ফুটে উঁচুতে বিশেষভাবে তাকে কবর দেওয়া হয়। যেই বেদিতে তাকে কবর দেওয়া হয়েছে, সেখানে পবিত্র কাবা শরিফের আদলে রং করা হয়।

এরপর থেকে কবর নিচু, রঙ পরিবর্তন ও ইমাম মাহাদীর দরবার শরিফ লেখা সাইনবোর্ড অপসারণের দাবি তোলেন তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উভয়পক্ষকে নি‌য়ে এক‌টি সভাও হ‌য়ে‌ছে।

এছাড়া, উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সমাধানে এক‌টি কমিটিও গঠন করে। কবরের ব্যাপারে প্রশাসন নুরুল হকের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলে। পরিবার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছিল। শুক্রবার সেখানে হামলার ঘটনা ঘটল।