শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগের পর হদিস মিলছে না নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

তরুণ প্রজন্মের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বর্তমানে দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে ক্ষমতা ছাড়ার পর ওলি কোথায় গেছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে চলে গেছেন, তাও স্পষ্ট নয়

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ৭৩ বছর বয়সি কেপি শর্মা ওলির বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। রাজনৈতিক সমাধানের পথ সুগম করতে ওলি পদত্যাগ করেন, তবে তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ চলাকালীন ১৯ জন নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার সোমবার রাত থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ তিনটি জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। তবে মঙ্গলবার সকালে জনতা কারফিউ ভেঙে ফেললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে পতন ঘটে ওলি সরকারের। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন।

এদিকে, সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সদ্য পদত্যাগ করা নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য চান প্রধানমন্ত্রী।

তবে, নেপালের সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পদত্যাগের পর হদিস মিলছে না নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত সময় : ০৬:০১:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তরুণ প্রজন্মের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বর্তমানে দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে ক্ষমতা ছাড়ার পর ওলি কোথায় গেছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে চলে গেছেন, তাও স্পষ্ট নয়

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ৭৩ বছর বয়সি কেপি শর্মা ওলির বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। রাজনৈতিক সমাধানের পথ সুগম করতে ওলি পদত্যাগ করেন, তবে তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ চলাকালীন ১৯ জন নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার সোমবার রাত থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ তিনটি জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। তবে মঙ্গলবার সকালে জনতা কারফিউ ভেঙে ফেললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে পতন ঘটে ওলি সরকারের। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন।

এদিকে, সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সদ্য পদত্যাগ করা নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য চান প্রধানমন্ত্রী।

তবে, নেপালের সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।