শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ সেনাসহ নিহত ৬৪

পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি পৃথক অভিযানে ১৯ সেনাসহ ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ভারত-সমর্থিত ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’-এর ৪৫ জন সন্ত্রাসী রয়েছে বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার তথ্যমতে, ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব সংঘর্ষ ঘটে। খবর জিও নিউজের।

এসব অভিযানের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাজৌরে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। আইএসপিআরের ভাষ্য অনুযায়ী, আমাদের সেনারা সফলভাবে টার্গেট স্থল আক্রমণ করে এবং তীব্র বন্দুকযুদ্ধের পর ২২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়

অন্যদিকে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে চালানো অভিযানে আরো ১৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয় বলে জানানো হয়। এ সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন সৈনিক নিহত হন।

এসব অভিযানে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এ অঞ্চলে বহু সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল বলে আইএসপিআর জানায়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী এসব হামলায় আফগান নাগরিকদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়েছে।

এছাড়া, ১১ সেপ্টেম্বর লোয়ার দির জেলার লাল কিলা ময়দান এলাকায় একটি গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করে নিরাপত্তা বাহিনী।

আইএসপিআরের তথ্যমতে, অভিযান চলাকালীন সেনারা সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং তীব্র বন্দুকযুদ্ধের পর ভারত-সমর্থিত ১০ জন খাওয়ারিজ নিহত হয়।

তবে এই অভিযানে সাতজন সৈনিকও নিহত হন। তারা হলেন—নায়েক আবদুল জলিল (উত্তর ওয়াজিরিস্তান), নায়েক গুল জান (লাক্কি মারওয়াত), ল্যান্স নায়েক আজমত উল্লাহ (লাক্কি মারওয়াত), সিপাহী আবদুল মালিক (খাইবার), সিপাহী মোহাম্মদ আমজাদ (মালাকান্দ), সিপাহী মোহাম্মদ দাউদ (সোয়াবি) এবং সিপাহী ফজল কায়ুম (ডেরা ইসমাইল খান)।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়েছে, বিশেষ করে কেপি ও বেলুচিস্তান প্রদেশে।

ইসলামাবাদভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক জানিয়েছে, শুধু গত মাসেই সন্ত্রাসী হামলায় ১৯৪ জন নিহত হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ সেনাসহ নিহত ৬৪

প্রকাশিত সময় : ১১:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি পৃথক অভিযানে ১৯ সেনাসহ ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ভারত-সমর্থিত ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’-এর ৪৫ জন সন্ত্রাসী রয়েছে বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার তথ্যমতে, ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব সংঘর্ষ ঘটে। খবর জিও নিউজের।

এসব অভিযানের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাজৌরে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। আইএসপিআরের ভাষ্য অনুযায়ী, আমাদের সেনারা সফলভাবে টার্গেট স্থল আক্রমণ করে এবং তীব্র বন্দুকযুদ্ধের পর ২২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়

অন্যদিকে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে চালানো অভিযানে আরো ১৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয় বলে জানানো হয়। এ সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন সৈনিক নিহত হন।

এসব অভিযানে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এ অঞ্চলে বহু সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল বলে আইএসপিআর জানায়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী এসব হামলায় আফগান নাগরিকদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়েছে।

এছাড়া, ১১ সেপ্টেম্বর লোয়ার দির জেলার লাল কিলা ময়দান এলাকায় একটি গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করে নিরাপত্তা বাহিনী।

আইএসপিআরের তথ্যমতে, অভিযান চলাকালীন সেনারা সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং তীব্র বন্দুকযুদ্ধের পর ভারত-সমর্থিত ১০ জন খাওয়ারিজ নিহত হয়।

তবে এই অভিযানে সাতজন সৈনিকও নিহত হন। তারা হলেন—নায়েক আবদুল জলিল (উত্তর ওয়াজিরিস্তান), নায়েক গুল জান (লাক্কি মারওয়াত), ল্যান্স নায়েক আজমত উল্লাহ (লাক্কি মারওয়াত), সিপাহী আবদুল মালিক (খাইবার), সিপাহী মোহাম্মদ আমজাদ (মালাকান্দ), সিপাহী মোহাম্মদ দাউদ (সোয়াবি) এবং সিপাহী ফজল কায়ুম (ডেরা ইসমাইল খান)।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়েছে, বিশেষ করে কেপি ও বেলুচিস্তান প্রদেশে।

ইসলামাবাদভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক জানিয়েছে, শুধু গত মাসেই সন্ত্রাসী হামলায় ১৯৪ জন নিহত হয়েছে।