মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রামপাশা গ্রামের মো. আবাছ মিয়ার বড় ছেলে মো. আক্কাছ মিয়া (২২) রহস্যজনকভাবে নিহত হয়েছেন। ৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে বাড়ির পাশের ধলাই নদীর পাড়ে গাছের সঙ্গে চাদর দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে আক্কাছের ছোট ভাই হাসান তাকে খুঁজতে গিয়ে নদীর পাড়ে তার বাইসাইকেল দেখতে পান। পরে আশেপাশে খোঁজাখুঁজির পর গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আক্কাছের লাশ দেখতে পান। তার দুই পা মাটিতে লাগানো ছিল, যা এলাকাবাসীর মাঝে হত্যার সন্দেহ
সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত আক্কাছ রংমিস্ত্রীর কাজ করতেন। রবিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে তিনি ভানুগাছ বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার আগে তার বাবার কাছ থেকে ৫০ টাকা নেন। রাত ১০টার দিকে তার বড় চাচা মো. নওশাদ মিয়া তাকে সফাত আলী সিনিয়র মাদ্রাসার কাছে দেখতে পান। বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন মোবাইলে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশী মো. শওকত বক্স ৬টা ৪০ মিনিটে ৯৯৯–এ ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নিহতের মা ফাতই বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে আক্কাছের সঙ্গে আদমপুর এলাকার একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। তার মোবাইলে ওই মেয়ের ছবি ও আইডি কার্ড পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে আক্কাছ আত্মহত্যা করেছেন নাকি এটি পরিকল্পিত হত্যা।
এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে – ৯৯৯ ফোন দেওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশের সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি।পুলিশি তদন্ত চলছে।

রিপোর্টারের নাম 
























