বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চবির শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে চবি রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ঐ ব্যক্তির নাম নুরুল আমিন (৬৫) বলে জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনটি ক্যাম্পাসের রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রেলওয়ে স্টেশনে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে, শাটল ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের মুহূর্তে প্ল্যাটফর্মে থাকা শিক্ষার্থীরা দরজার দিকে ইশারা করে চিৎকার করতে থাকেন। তখন দেখা যায়, ওই ব্যক্তি ইতোমধ্যে ট্রেনের অর্ধেক অংশের নিচে চলে গেছেন, আর ট্রেন তখনও চলমান ছিল। তিনি ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝের সরু ফাঁকা জায়গায় আটকে পড়েন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মৃত নুরুল আমিন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর চার সন্তান রয়েছে। বিকেলে তিনি চৌধুরী হাট স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছানোর পর নামতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।

জানতে চাইলে চবি সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, “শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় ছেলেদের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, দাফনের প্রস্তুতি চলছে।”

চবির চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব বলেন, “কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই ব্যক্তিকে মেডিকেলে নিয়ে এসেছিল। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পান।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

চবির শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত

প্রকাশিত সময় : ১০:১০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে চবি রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ঐ ব্যক্তির নাম নুরুল আমিন (৬৫) বলে জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনটি ক্যাম্পাসের রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রেলওয়ে স্টেশনে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে, শাটল ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের মুহূর্তে প্ল্যাটফর্মে থাকা শিক্ষার্থীরা দরজার দিকে ইশারা করে চিৎকার করতে থাকেন। তখন দেখা যায়, ওই ব্যক্তি ইতোমধ্যে ট্রেনের অর্ধেক অংশের নিচে চলে গেছেন, আর ট্রেন তখনও চলমান ছিল। তিনি ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝের সরু ফাঁকা জায়গায় আটকে পড়েন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে চবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মৃত নুরুল আমিন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর চার সন্তান রয়েছে। বিকেলে তিনি চৌধুরী হাট স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছানোর পর নামতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।

জানতে চাইলে চবি সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, “শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় ছেলেদের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, দাফনের প্রস্তুতি চলছে।”

চবির চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব বলেন, “কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই ব্যক্তিকে মেডিকেলে নিয়ে এসেছিল। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পান।”