মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া, শান্তি, সাম্য ও প্রগতির পথে:রায়হান রোহান

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম,র প্রকাশক রায়হান রোহান ,“ মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে। দেশের অদম্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে এই বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। তাই, ১৬ ডিসেম্বর জাতির জন্য অহংকার, আনন্দ ও বেদনার এক মহাকাব্যিক দিন।”মহান বিজয় লাল সূর্য ওঠে সবুজ বুকে, রক্তে লেখা স্বাধীনতার সুখে।

তিনি বলেন স্বাধীনতা শুধু অর্জন নয়; এটি আমাদের দায়িত্বও বয়ে আনে। আমাদের কর্তব্য হলো শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া, শান্তি, সাম্য ও প্রগতির পথে।

রায়হান রোহান তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতি বিজয় অর্জন করে। এ ঐতিহাসিক দিনে আমি দেশবাসীসহ প্রবাসী সকল বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণে ভরে উঠুক তাদের জীবন—এই কামনা করি। এই দিনেই ৯ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে এবং পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

শহীদের নাম বাতাসে ভাসে, ইতিহাস কথা কয় নীরব আশ্বাসে। ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে এসেছিল যে ভোর, শৃঙ্খল ভেঙে জেগেছিল স্বাধীনতার জোর। মায়ের আঁচলে লুকানো কান্না, আজ বিজয়ের গানে মিশে যায় অনাবিল মান্না। একাত্তরের সেই অগ্নিপথে, জ্বলেছিল স্বপ্ন লক্ষ প্রাণের রক্তে। আজও সে আগুন বুকে জ্বলে, বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলে। লাল-সবুজ পতাকা ডাকে নিরন্তর— এই দেশ, এই বিজয়, আমাদের অন্তর।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) নিজের  এ কথা বলেন  ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।

মুক্তির বাতিঘর: আমাদের অহংকার ১৯৭১ সালের মহান বিজয় আমাদের ইতিহাসের সোনালী অধ্যায়। শহীদদের ত্যাগ আমাদের গর্ব, স্বাধীনতা আমাদের দায়িত্ব। আসুন, সেই চেতনা ধরে রাখি এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

“মুক্তির বাতিঘর: আমাদের ইতিহাস, আমাদের অহংকার” শিরোনামের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল বক্তব্য দিলাম, যা পত্রিকায় দেওয়ার উপযোগী: বক্তব্য: আজ আমরা স্মরণ করছি আমাদের জাতির সেই গৌরবময় অধ্যায়, যখন মহান স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়া হয়েছিল। আমাদের মুক্তির বাতিঘর—১৯৭১ সালের বিজয় আমাদের ইতিহাসের সোনালী পাতায় লেখা, যা আমাদের অহংকারের প্রতীক। মুক্তির বাতিঘর আমাদের ইতিহাস, আমাদের অহংকার। আসুন, সবাই মিলিত হয়ে সেই চেতনা ধরে রাখি এবং আগামী প্রজন্মের জন্য আরও উজ্জ্বল করে তুলি।

রায়হান রোহান তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বিদেশি শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করতে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমি তাদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই বিজয়ের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক—আমরা বিভাজন ভুলে, হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াব।

মহান বিজয় দিবসে দেশবাসীর সকলের প্রতি সেই আহ্বান জানিয়ে রায়হান রোহান বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া, শান্তি, সাম্য ও প্রগতির পথে:রায়হান রোহান

প্রকাশিত সময় : ১১:২৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম,র প্রকাশক রায়হান রোহান ,“ মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে। দেশের অদম্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে এই বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। তাই, ১৬ ডিসেম্বর জাতির জন্য অহংকার, আনন্দ ও বেদনার এক মহাকাব্যিক দিন।”মহান বিজয় লাল সূর্য ওঠে সবুজ বুকে, রক্তে লেখা স্বাধীনতার সুখে।

তিনি বলেন স্বাধীনতা শুধু অর্জন নয়; এটি আমাদের দায়িত্বও বয়ে আনে। আমাদের কর্তব্য হলো শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া, শান্তি, সাম্য ও প্রগতির পথে।

রায়হান রোহান তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতি বিজয় অর্জন করে। এ ঐতিহাসিক দিনে আমি দেশবাসীসহ প্রবাসী সকল বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণে ভরে উঠুক তাদের জীবন—এই কামনা করি। এই দিনেই ৯ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে এবং পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

শহীদের নাম বাতাসে ভাসে, ইতিহাস কথা কয় নীরব আশ্বাসে। ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে এসেছিল যে ভোর, শৃঙ্খল ভেঙে জেগেছিল স্বাধীনতার জোর। মায়ের আঁচলে লুকানো কান্না, আজ বিজয়ের গানে মিশে যায় অনাবিল মান্না। একাত্তরের সেই অগ্নিপথে, জ্বলেছিল স্বপ্ন লক্ষ প্রাণের রক্তে। আজও সে আগুন বুকে জ্বলে, বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলে। লাল-সবুজ পতাকা ডাকে নিরন্তর— এই দেশ, এই বিজয়, আমাদের অন্তর।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) নিজের  এ কথা বলেন  ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।

মুক্তির বাতিঘর: আমাদের অহংকার ১৯৭১ সালের মহান বিজয় আমাদের ইতিহাসের সোনালী অধ্যায়। শহীদদের ত্যাগ আমাদের গর্ব, স্বাধীনতা আমাদের দায়িত্ব। আসুন, সেই চেতনা ধরে রাখি এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

“মুক্তির বাতিঘর: আমাদের ইতিহাস, আমাদের অহংকার” শিরোনামের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল বক্তব্য দিলাম, যা পত্রিকায় দেওয়ার উপযোগী: বক্তব্য: আজ আমরা স্মরণ করছি আমাদের জাতির সেই গৌরবময় অধ্যায়, যখন মহান স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়া হয়েছিল। আমাদের মুক্তির বাতিঘর—১৯৭১ সালের বিজয় আমাদের ইতিহাসের সোনালী পাতায় লেখা, যা আমাদের অহংকারের প্রতীক। মুক্তির বাতিঘর আমাদের ইতিহাস, আমাদের অহংকার। আসুন, সবাই মিলিত হয়ে সেই চেতনা ধরে রাখি এবং আগামী প্রজন্মের জন্য আরও উজ্জ্বল করে তুলি।

রায়হান রোহান তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বিদেশি শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করতে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমি তাদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই বিজয়ের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক—আমরা বিভাজন ভুলে, হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াব।

মহান বিজয় দিবসে দেশবাসীর সকলের প্রতি সেই আহ্বান জানিয়ে রায়হান রোহান বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।