শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপন বিয়ের খবরে মুখ খুললেন মেহরীন

বড় পর্দায় পা রেখেই নজর কাড়েন ভারতীয় সিনেমার অভিনেত্রী মেহরীন পিরজাদা। ব্যক্তিগত জীবনে রাজনীতিবিদ ভাবিয়া বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এক বছর প্রেম করার পর ২০২১ সালে বাগদান সারেন এই জুটি। কিন্তু বাগদানের চার মাস পর এ বিয়ে ভেঙে যায়।

গত দুই বছর ধরে মেহরীনের বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন উড়েছে। এদিকে, নতুন করে গুঞ্জন চাউর হয়েছে—গোপনে বিয়ে করেছেন মেহরীন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চলছে। কেবল তাই নয়, মেহরীনের গোপন বিয়ে নিয়ে খবর প্রকাশ করে ডিএনএ ইন্ডিয়া। সময়ের সঙ্গে এ অভিনেত্রীর বিয়ের চর্চা যখন জোরালো হচ্ছে, তখন নীরবতা ভেঙেছেন এই অভিনেত্রী।

মেহরীন তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়ে ‘গোপন বিয়ে’ নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এ অভিনেত্রী বলেন, “আজকাল কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া নেওয়া ছাড়াই ভুল তথ্য যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তা সত্যিই অদ্ভুত! সাংবাদিকতাও তথাকথিত ‘স্টুপিড পেইড’ আর্টিকেলের কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ২ বছর ধরে এসব নিয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু লাগাতার হয়রানির কারণে আজ কথা বলতে বাধ্য হলাম।”

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সমালোচনা করে মেহরীন বলেন, “ডিএনএ ইন্ডিয়া আমাকে নিয়ে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, ‘আমি এক্সওয়াইজেড অর্থাৎ কাউকে বিয়ে করেছি।’ আমরা তাকে একেবারেই চিনি না, এমনকি কখনো কথাও বলিনি। স্পষ্টতই, এটা কোনো নিম্নমানের মানুষের কাজ; যে আমার উইকিপিডিয়া হ্যাক করে নিজে ২ মিনিটের খ্যাতি পাওয়ার চেষ্টা করেছে। তাই আমি সবকিছু পরিষ্কার করছি।”

বিয়ের বিষয়ে মেহরীন পিরজাদা বলেন, “আমি অবিবাহিত। আমি কাউকে বিয়ে করিনি। বিশ্বাস করুন, আমি যেদিন সত্যিই বিয়ে করব, সেদিন পুরো দুনিয়াই জানবে—এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি!”

ডিএনএ ইন্ডিয়া পত্রিকা ও মেহরীনকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মেহরীন বলেন, “ডিএনএ ইন্ডিয়া নিজেদের শুধরে নাও। ‘ঋদ্ধিমা কানেতকার’ আপনি নিজেকে সাংবাদিক বলা বন্ধ করুন। কারণ আপনি সেই যোগ্যতা রাখেন না।”

মাত্র ১০ বছর বয়সে র‌্যাম্পে হাঁটেন মেহরীন। ২০১৩ সালে ‘মিস পারসোনালিটি সাউথ এশিয়া কানাডা’সহ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর মুকুট পরেন। পরবর্তীতে ভারত ও কানাডার বেশ কিছু বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর নাম লেখান চলচ্চিত্রে।

২০১৬ সালে তেলেগু ভাষার ‘কৃষ্ণা গাডি ভীরা প্রেমা গাধা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে মেহরীনের। ২০১৭ সালে ‘ফিল্লোরি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। একই বছর ‘নেনজিল থুনিভিরুন্ডাল’ সিনেমার মাধ্যমে তামিল ভাষার সিনেমায় নাম লেখান মেহরীন।

 

এরপর ‘এফ টু’, ‘এফ থ্রি’, ‘প্যান্থম’ এর মতো ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন মেহরীন। গত বছর নতুন কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। বিরতি ভেঙে ‘ইন্দ্রা’ সিনেমার মাধ্যমে চলতি বছরে প্রেক্ষাগৃহে ফিরেছেন মেহরীন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গোপন বিয়ের খবরে মুখ খুললেন মেহরীন

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

বড় পর্দায় পা রেখেই নজর কাড়েন ভারতীয় সিনেমার অভিনেত্রী মেহরীন পিরজাদা। ব্যক্তিগত জীবনে রাজনীতিবিদ ভাবিয়া বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এক বছর প্রেম করার পর ২০২১ সালে বাগদান সারেন এই জুটি। কিন্তু বাগদানের চার মাস পর এ বিয়ে ভেঙে যায়।

গত দুই বছর ধরে মেহরীনের বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন উড়েছে। এদিকে, নতুন করে গুঞ্জন চাউর হয়েছে—গোপনে বিয়ে করেছেন মেহরীন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চলছে। কেবল তাই নয়, মেহরীনের গোপন বিয়ে নিয়ে খবর প্রকাশ করে ডিএনএ ইন্ডিয়া। সময়ের সঙ্গে এ অভিনেত্রীর বিয়ের চর্চা যখন জোরালো হচ্ছে, তখন নীরবতা ভেঙেছেন এই অভিনেত্রী।

মেহরীন তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়ে ‘গোপন বিয়ে’ নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এ অভিনেত্রী বলেন, “আজকাল কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া নেওয়া ছাড়াই ভুল তথ্য যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তা সত্যিই অদ্ভুত! সাংবাদিকতাও তথাকথিত ‘স্টুপিড পেইড’ আর্টিকেলের কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ২ বছর ধরে এসব নিয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু লাগাতার হয়রানির কারণে আজ কথা বলতে বাধ্য হলাম।”

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সমালোচনা করে মেহরীন বলেন, “ডিএনএ ইন্ডিয়া আমাকে নিয়ে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, ‘আমি এক্সওয়াইজেড অর্থাৎ কাউকে বিয়ে করেছি।’ আমরা তাকে একেবারেই চিনি না, এমনকি কখনো কথাও বলিনি। স্পষ্টতই, এটা কোনো নিম্নমানের মানুষের কাজ; যে আমার উইকিপিডিয়া হ্যাক করে নিজে ২ মিনিটের খ্যাতি পাওয়ার চেষ্টা করেছে। তাই আমি সবকিছু পরিষ্কার করছি।”

বিয়ের বিষয়ে মেহরীন পিরজাদা বলেন, “আমি অবিবাহিত। আমি কাউকে বিয়ে করিনি। বিশ্বাস করুন, আমি যেদিন সত্যিই বিয়ে করব, সেদিন পুরো দুনিয়াই জানবে—এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি!”

ডিএনএ ইন্ডিয়া পত্রিকা ও মেহরীনকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মেহরীন বলেন, “ডিএনএ ইন্ডিয়া নিজেদের শুধরে নাও। ‘ঋদ্ধিমা কানেতকার’ আপনি নিজেকে সাংবাদিক বলা বন্ধ করুন। কারণ আপনি সেই যোগ্যতা রাখেন না।”

মাত্র ১০ বছর বয়সে র‌্যাম্পে হাঁটেন মেহরীন। ২০১৩ সালে ‘মিস পারসোনালিটি সাউথ এশিয়া কানাডা’সহ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর মুকুট পরেন। পরবর্তীতে ভারত ও কানাডার বেশ কিছু বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর নাম লেখান চলচ্চিত্রে।

২০১৬ সালে তেলেগু ভাষার ‘কৃষ্ণা গাডি ভীরা প্রেমা গাধা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে মেহরীনের। ২০১৭ সালে ‘ফিল্লোরি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। একই বছর ‘নেনজিল থুনিভিরুন্ডাল’ সিনেমার মাধ্যমে তামিল ভাষার সিনেমায় নাম লেখান মেহরীন।

 

এরপর ‘এফ টু’, ‘এফ থ্রি’, ‘প্যান্থম’ এর মতো ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন মেহরীন। গত বছর নতুন কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। বিরতি ভেঙে ‘ইন্দ্রা’ সিনেমার মাধ্যমে চলতি বছরে প্রেক্ষাগৃহে ফিরেছেন মেহরীন।