শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তির দাবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরো চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, “কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থক সন্দেহে নিশানা করার যে উদ্বেগজনক প্রবণতা চলছে, আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার তারই ধারাবাহিকতা। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার করে মানুষের মত প্রকাশ বন্ধ করার চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং কর্তৃপক্ষের উচিত মানুষকে স্বাধীনভাবে কথা বলার এবং সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া; বিশেষ করে নির্বাচনের আগের এই সময়ে।”

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক গবেষক রিহাব মাহমুর বলেন, “আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদ অনুযায়ী যে দায়িত্ব রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে তা মেনে চলতে হবে এবং আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।”

রিহাব মাহমুর বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার–সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাকে সম্মান জানাতে হবে এবং অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সাংবাদিক আনিস আলমগীরের মুক্তির দাবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের

প্রকাশিত সময় : ১১:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরো চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, “কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থক সন্দেহে নিশানা করার যে উদ্বেগজনক প্রবণতা চলছে, আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার তারই ধারাবাহিকতা। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার করে মানুষের মত প্রকাশ বন্ধ করার চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং কর্তৃপক্ষের উচিত মানুষকে স্বাধীনভাবে কথা বলার এবং সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া; বিশেষ করে নির্বাচনের আগের এই সময়ে।”

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক গবেষক রিহাব মাহমুর বলেন, “আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদ অনুযায়ী যে দায়িত্ব রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে তা মেনে চলতে হবে এবং আনিস আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।”

রিহাব মাহমুর বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার–সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাকে সম্মান জানাতে হবে এবং অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।”