রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীমান্ত বিরোধে বাড়ছে কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সংঘর্ষ, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত

থাইল্যান্ডের সঙ্গে টানা দুই সপ্তাহের তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষে কম্বোডিয়ায় অর্ধ মিলিয়নের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, থাইল্যান্ডের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে গোলাবর্ষণ, রকেট হামলা ও বোমাবর্ষণের কারণে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ নিজেদের বাড়ি ও স্কুল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ১৮ হাজার ৬১১ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে থাইল্যান্ড জানিয়েছে, এই সংঘর্ষের কারণে তাদের দেশেও প্রায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তাদের মতে, চলতি মাসে ট্যাংক, ড্রোন ও কামান ব্যবহার করে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে থাইল্যান্ডে অন্তত ২২ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৯ জন নিহত হয়েছে।

এই সংঘাতের মূল কারণ হলো ঔপনিবেশিক আমলের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের সীমানা নির্ধারণ এবং সীমান্তে থাকা প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে বিরোধ।

জুলাই মাসে টানা পাঁচ দিনের সংঘর্ষে বহু মানুষ নিহত হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে হামলার অভিযোগ তুলেছে।
চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, আসিয়ান জোটের বর্তমান সভাপতি মালয়েশিয়া, জাতিসংঘ; সবাই এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডসহ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার (২২ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বৈঠকে বসবেন।

সেখানে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সীমান্ত বিরোধে বাড়ছে কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সংঘর্ষ, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

থাইল্যান্ডের সঙ্গে টানা দুই সপ্তাহের তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষে কম্বোডিয়ায় অর্ধ মিলিয়নের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, থাইল্যান্ডের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে গোলাবর্ষণ, রকেট হামলা ও বোমাবর্ষণের কারণে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ নিজেদের বাড়ি ও স্কুল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ১৮ হাজার ৬১১ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে থাইল্যান্ড জানিয়েছে, এই সংঘর্ষের কারণে তাদের দেশেও প্রায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তাদের মতে, চলতি মাসে ট্যাংক, ড্রোন ও কামান ব্যবহার করে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে থাইল্যান্ডে অন্তত ২২ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৯ জন নিহত হয়েছে।

এই সংঘাতের মূল কারণ হলো ঔপনিবেশিক আমলের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের সীমানা নির্ধারণ এবং সীমান্তে থাকা প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে বিরোধ।

জুলাই মাসে টানা পাঁচ দিনের সংঘর্ষে বহু মানুষ নিহত হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে হামলার অভিযোগ তুলেছে।
চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, আসিয়ান জোটের বর্তমান সভাপতি মালয়েশিয়া, জাতিসংঘ; সবাই এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডসহ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার (২২ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বৈঠকে বসবেন।

সেখানে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।