মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরা জেলা লকডাউন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পর এবার সাতক্ষীরায় সাত দিনের ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার গড়ে ৩৫% -এ ওঠানামা করছে। সবশেষ বুধবার জেলায় সংক্রমণের হার বেড়ে ৫৫%- এ দাঁড়ায়। সে কারণে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শনিবার ভোর থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন।

লকডাউন চলাকালীন সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দোকানপাট সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এই সময়ের পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।

তবে ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যাবে। এছাড়া জরুরি ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে কিংবা চিকিৎসা নিতে বের হওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখাতে হবে। মূলত অ্যাম্বুলেন্স, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, এবং আমসহ খাদ্যপণ্যের পরিবহন লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।

শুক্রবার লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী ইউনিয়নগুলো অরক্ষিত থাকার কারণে, মানুষের অবাধ চলাচল ও চোরাচালানের কারণে সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তবে লকডাউনের ফলে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশা করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সাতক্ষীরা জেলা লকডাউন

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পর এবার সাতক্ষীরায় সাত দিনের ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার গড়ে ৩৫% -এ ওঠানামা করছে। সবশেষ বুধবার জেলায় সংক্রমণের হার বেড়ে ৫৫%- এ দাঁড়ায়। সে কারণে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শনিবার ভোর থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন।

লকডাউন চলাকালীন সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দোকানপাট সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এই সময়ের পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।

তবে ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যাবে। এছাড়া জরুরি ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে কিংবা চিকিৎসা নিতে বের হওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখাতে হবে। মূলত অ্যাম্বুলেন্স, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, এবং আমসহ খাদ্যপণ্যের পরিবহন লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।

শুক্রবার লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী ইউনিয়নগুলো অরক্ষিত থাকার কারণে, মানুষের অবাধ চলাচল ও চোরাচালানের কারণে সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তবে লকডাউনের ফলে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশা করছেন।