আগামী ২০২৬ সালের শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ চলছে। এবারও বই ছাপানোর কার্যক্রম দেরিতে শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এতে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পাবেন কিনা এই শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বই ছাপাতে বেশ কিছু মুদ্রণপ্রতিষ্ঠান অনুমোদনহীন কাগজ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার এনসিটিবির নিয়োগকৃত ইনস্পেকশন এজেন্ট কন্ট্রোল ইউনিয়ন বিডি কর্তৃপক্ষের কাছে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ দেন।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী মো. বদরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৬ সালের শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী আট প্রেস ও অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়া নিম্নমানের কাগজ দিয়ে পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ধরনের ছাপাকৃত পাঠ্যপুস্তকও সম্প্রতি সাপ্তাহিক করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর এই ধরনের অনিয়মের দায়ভার আমরা বহন করবো না। এসময় অভিযোগপত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়
এই বিষয়ে এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মতিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, পাঠ্যবই ছাপানোর ক্ষেত্রে এই
এনসিটিবির সূত্র জানায়, আগামী বছর বিনামূল্যের বিতরণের জন্য প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই প্রায় ৮ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ২১ কোটি ৪০ লাখ বই ছাপানো হচ্ছে। এবার পুনরায় তিন শ্রেণির দরপত্র আহবান করা হয়। তার মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৯০৬, সপ্তম শ্রেণির ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ এবং অষ্টম শ্রেণির ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮। দরপত্র বাতিল হওয়া তিন শ্রেণির মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল গত ১৯ মে, সপ্তম শ্রেণির ১৫ মে এবং অষ্টম শ্রেণির ২ জুন। কিন্তু পুনরায় টেন্ডার আহবান করার কারণে এবারও বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা বই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























