অনেকে ভাবেন শুধু আবহাওয়ার কারণেই ঠোঁট ফাটে। আসলে তা নয়। দৈনন্দিন কিছু ভুল অভ্যাসও এই সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না
সবচেয়ে প্রচলিত ভুল হলো বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো বা ঠোঁট চাটা।
শুষ্ক লাগলে অনেকে অজান্তেই ঠোঁটে জিভ বুলিয়ে নেন। এতে সাময়িকভাবে ভেজা মনে হলেও লালার এনজাইম ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা আরো কমিয়ে দেয়। ফলে কিছু সময় পর ঠোঁট আগের চেয়ে বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। একইভাবে ঠোঁটের মৃত চামড়া দাঁত দিয়ে কামড়ানো বা টেনে তোলাও ক্ষতিকর।
এতে ফাটল গভীর হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীরে পানির ঘাটতি ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ। পর্যাপ্ত পানি না খেলে তার প্রভাব প্রথমেই পড়ে ঠোঁটে। অনেক সময় নিয়মিত লিপবাম ব্যবহার করেও উপকার পাওয়া যায় না।
কারণ শরীরের ভেতরে আর্দ্রতা নেই। এ জন্য সারা দিন পর্যাপ্ত পানি পান করা ঠোঁট ভালো রাখার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায়।
উপযোগী লিপবাম ব্যবহার
লিপবাম ব্যবহার জরুরি হলেও কোন ধরনের লিপবাম ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত সুগন্ধি, মেনথল বা ক্যাম্ফরযুক্ত লিপবাম সাময়িক শীতল অনুভূতি দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে ঠোঁট আরো শুষ্ক করতে পারে। শিয়া বাটার, নারকেল তেল, ভিটামিন ই-যুক্ত সাধারণ লিপবাম ঠোঁটের জন্য বেশি উপযোগী।
ঠোঁট পরিষ্কার রাখতে হালকা স্ক্রাব উপকারী। তবে অতিরিক্ত স্ক্রাব বা রুক্ষ উপাদান ঠোঁটের নরম ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করে। সপ্তাহে একবার, খুব মৃদু উপায়ে মৃত কোষ তুলে ফেলাই যথেষ্ট। সূর্যের আলো ঠোঁটের ওপরও প্রভাব ফেলে। দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে ঠোঁট শুষ্ক ও কালচে হয়ে যেতে পারে। বাইরে বেরোনোর সময় এসপিএফযুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা একটি ভালো অভ্যাস। ঠোঁট ফাটা বড় কোনো সমস্যা নয়, কিন্তু অবহেলা করলে অস্বস্তি বাড়ে। দৈনন্দিন কিছু ছোট অভ্যাস ঠিক করলেই ঠোঁট নরম, সুস্থ ও কোমল রাখা সম্ভব।

রিপোর্টারের নাম 

























