বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির বিপুল সংখ্যক কর্মী আসছে ঢাকায়

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করছেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। দেশে ফেরার দিন তারেক রহমানকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা। এ উপলক্ষে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চ মোটামুটি প্রস্তুত, চলছে শেষ সময়ের কাজ। এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সারা দেশ থেকে মাইক্রো, কার, বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। অনেক ভিড় এড়াতে গতকাল মঙ্গলবারই রওনা দিয়েছেন।

সারা দেশ থেকে আমাদের সময়-এর ব্যুরো, প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, তারেক রহমানকে বরণ করতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের লাখো নেতাকর্মী প্রস্তুতি নিয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। পরিবহন সংকটের কথা চিন্তা করে কেউ কেউ গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। বাস, পিকআপ, হাইয়েস, ব্যক্তিগত গাড়ি, স্পেশাল ট্রেনের পাশাপাশি নিয়মিত ট্রেনগুলোতে যুক্ত করা হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ। বিমানেও যাবেন অনেকে।

চট্টগ্রাম

মহানগর বিএনপি আজ বুধবারের তূর্ণানীশিতা ও ঢাকা মেইল ট্রেনের সব বগির টিকিট ক্রয়ের পাশাপাশি শতাধিক বাস-হাইয়েস ভাড়া করেছে। চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে ৫ থেকে ১০টি বাস ও হাইয়েস ভাড়া করা হয়েছে। এ ছাড়া এমপি প্রার্থীরাও পৃথকভাবে নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন থেকে শুরু করে চট্টগ্রামে ১৬টি আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত এবং মনোনয়নপ্রত্যাশী সব নেতারা ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। অনেকে আবার এরই মধ্যে ঢাকা চলে গেছেন।

রাজশাহী ব্যুরো জানায় : তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজশাহী থেকে ৩৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকায় যাবেন। এ উপলক্ষে রাজশাহী থেকে ট্রেন, বাস, মাইক্রোবাস ও কারে করে ঢাকায় যাবেন নেতাকর্মীরা। যদিও রাজশাহী থেকে কোনো স্পেশাল ট্রেন না থাকলেও বিভিন্ন ট্রেনের অতিরিক্ত বগি লাগানোর কথা জানিয়েছে রেলওয়ে।

রাজশাহী বিএনপির একটি সূত্র বলেছে, রাজশাহী মহানগর ও জেলা থেকে প্রায় ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। দলীয়ভাবে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে নিজে নিজে আলাদাভাবে ঢাকায় গিয়েছেন বা যাচ্ছেন। একইভাবে অনেকে ট্রেনে যাবেন। রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব বাস আগের দিন ও রাতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, রাজশাহী মহানগর থেকে ৭০টি বাস ছাড়াও মাইক্রোবাস ও কারে যাবেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া স্পেশাল ট্রেন ও ট্রেনের বগি বুকিং করা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মী এরই মধ্যে চলে গেছেন, যাঁরা বাকি আছেন তাঁরা বুধবার যাবেন। আমাদের ধারণা রাজশাহী মহানগর থেকে ১৫ থেকে ১৬ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। সেই লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, রাজশাহীর সব উপজেলা থেকে সবমিলিয়ে ২২ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মী যাবেন। বাস যাবেন, মাইক্রোবাস যাবেন, ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে। অনেকে ট্রেনে যাবেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে থেকে চারটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এরই মধ্যে পঞ্চগড়-ঢাকা, চাটমোহর-ঢাকা, যশোর-ঢাকা ও খুলনা-ঢাকা আছে। এ ছাড়া নাটোর-ঢাকার ট্রেনে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে ; এখনও হয়নি। আর রাজশাহী-ঢাকার মধ্যে চলাচল করা একাধিক ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।

সিলেট ব্যুরো জানায়, তারেক রহমানকে বরণ করতে বিভাগ থেকে লক্ষাধিক মানুষ ঢাকায় উপস্থিত হবেন বলে জানিয়েছেন সিলেট বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। লন্ডন থেকে ফেরার পথে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১ ঘণ্টার বিরতি নিয়ে ছেড়ে যাবে ঢাকার উদ্দেশে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সময়ে তারেক রহমান বিমানেই অবস্থান করবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও দেখা হবে না।

কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী জানান, তিনি একদিন আগেই ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সিলেট থেকে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি মিলিয়ে কয়েক হাজার যানবাহনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া একটি বিশেষ ট্রেনও ভাড়া নেওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং এদিন সবগুলো ট্রেনেই আলাদা বগি যুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেটের লক্ষাধিক মানুষ ঢাকা উপস্থিত থাকবেন।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। অন্য বিভাগগুলোর তুলনায় বেশি কর্মী-সমর্থক নিয়ে ঢাকায় উপস্থিত হওয়ার পরিকল্পনা করছেন স্থানীয় নেতারা। বরিশাল বিভাগীয় বিএনপি জানিয়েছে, নেতাকর্মীদের বহনের জন্য বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ৩০টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক বাস আজ বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির (বরিশাল বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বরিশাল বিভাগ থেকে ৫ লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। নেতাকর্মীরা সড়ক ও নদীপথে ঢাকায় যাবেন।

রংপুর প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে রংপুর বিভাগ থেকে বাস, ট্টেন ও মাইক্রোবাসে করে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে শুধু রংপুর জেলা ও মহানগর থেকেই যাবেন ৫০ হাজার নেতাকর্মী। এ ছাড়া গাইবান্ধা থেকে বাস, মাইক্রোবাস ও ট্রেনে করে প্রায় ১২ হাজার নেতাকর্মী ঢাকার জনসভায় যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে গাইবান্ধা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান শহীদ। এরই মধ্যে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে ঢাকায় পৌঁছেছে। এদিকে পঞ্চগড় থেকে ১০০ মাইক্রোবাস, চারটি মিনিবাস ও একটি ট্রেনে করে প্রায় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম কাচ্চু।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আমাদের সময়কে বলেন, শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, সাধারণ জনগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে রংপুর বিভাগ থেকে ঢাকায় যাবেন। কেউ বাসে, কেউ ট্রেনে ঢাকায় যাচ্ছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ জানায় : ময়মনসিংহের ৩০টি সংসদীয় আসন থেকে ১ লাখ ২০ হাজার নেতাকর্মী তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। মঙ্গলবার থেকেই বাস-ট্রেন ও প্রাইভেট কার যোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা জানান : আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগ থেকে যোগ দেবেন ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী। এরই মধ্যে তাঁদের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার থেকেই নেতাকর্মীরা ধাপে ধাপে ঢাকায় যাওয়া শুরু করবেন এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্য তাঁরা সমাবেশস্থলে অবস্থান করবেন। কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া বলেন, দলের আড়াই লাখের বেশি নেতাকর্মী এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বুধবার থেকেই নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সমাবেশ স্থলে হাজির থাকবেন।

ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান : ফরিদপুর থেকে বাস, ট্রেন ও মাইক্রোবাসে করে বিএনপি-অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ৪০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাচ্ছেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন। জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলা ও ছয়টি পৌরসভার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ উপলক্ষে জেলায় পরিবহন, বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, প্রাইভেট কার ভাড়া করা হয়েছে। অনেকে দুই দিন আগে থেকেই ঢাকায় যাচ্ছেন।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে হবিগঞ্জ থেকে অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জি কে গউছ।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি ১৪০টি বাস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ভাড়া করেছে। ট্রেনে প্রায় আড়াই হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ঢাকায় যেতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ জানান, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ২ হাজার ৫০০ জন যাবেন। ১৪০টি বাসের প্রতিটিতে ৭০ জন করে যাত্রা করবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ন্যূনতম ১০০টি মাইক্রোবাসে আরও ১ হাজার জন এবং আলাদাভাবে আরও ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে সেদিন ঢাকায় যাবে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজার নেতাকর্মী যাবেন, তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

যশোর প্রতিনিধি জানান : প্রিয় নেতার আগমনের মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে যশোর থেকে বিএনপির লাখো নেতাকর্মী ঢাকায় হাজির হবেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘তারেক রহমানের আগমনের দিন যশোর থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় হাজির হবেন। পরিবহন সংকটের আশঙ্কায় আমরা বিকল্প হিসেবে ট্রেন ভাড়ার আবেদন করেছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আবার যানবাহন সংকট আশঙ্কায় অনেকে আগেভাগেই ঢাকা যেতে শুরু করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার জানান : তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে? কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন ২০ হাজার নেতাকর্মী। জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানিয়েছেন, বাস মাইক্রো বাস, ট্রেন ও বিমানে করে ঢাকায় যাচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী। এরই মধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকায় চলে গেছেন। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক বাস, মিনিবাস, মাইক্রো নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।

রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বিপণন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার (আজ) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বিএনপির জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ ট্রেন।

লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানের সংবর্ধনা সমাবেশে যোগ দিতে ‘বিশেষ ট্রেন’ বরাদ্দের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে লালমনিরহাট। গতকাল মঙ্গলবার দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে রাখার পর রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিকাল ৩টায় অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এর ফলে লালমনিরহাটের সঙ্গে ঢাকা, রংপুর ও বুড়িমারীসহ সব রুটের ট্রেন চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে।

রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান : বিএনপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি ও দুটি আসনের এমপি প্রার্থী রাজবাড়ী-১ আসনের আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও রাজবাড়ী-২ আসনের মো. হারুন-অর রশীদের উদ্যোগে ২০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু জানিয়েছেন, জেলা বিএনপি ও অন্যান্য সংগঠনের উদ্যোগে ২০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টাঙ্গাইল থেকে একটি ট্রেন রিজার্ভ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫ শতাধিক গাড়িতে করে ৩০ হাজার নেতাকর্মী যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, টাঙ্গাইল সদরসহ জেলার সব উপজেলা থেকে প্রায় ৩০ হাজর লোক ঢাকা যাবেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন বলেন, টাঙ্গাইল সদর থেকে একটি ট্রেন ও শতাধিক বাস রিজার্ভ করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মীই আগের দিন ঢাকায় চলে যাবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়েছিলাম’

বিএনপির বিপুল সংখ্যক কর্মী আসছে ঢাকায়

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৩:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করছেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। দেশে ফেরার দিন তারেক রহমানকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা। এ উপলক্ষে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চ মোটামুটি প্রস্তুত, চলছে শেষ সময়ের কাজ। এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সারা দেশ থেকে মাইক্রো, কার, বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। অনেক ভিড় এড়াতে গতকাল মঙ্গলবারই রওনা দিয়েছেন।

সারা দেশ থেকে আমাদের সময়-এর ব্যুরো, প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, তারেক রহমানকে বরণ করতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের লাখো নেতাকর্মী প্রস্তুতি নিয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। পরিবহন সংকটের কথা চিন্তা করে কেউ কেউ গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। বাস, পিকআপ, হাইয়েস, ব্যক্তিগত গাড়ি, স্পেশাল ট্রেনের পাশাপাশি নিয়মিত ট্রেনগুলোতে যুক্ত করা হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ। বিমানেও যাবেন অনেকে।

চট্টগ্রাম

মহানগর বিএনপি আজ বুধবারের তূর্ণানীশিতা ও ঢাকা মেইল ট্রেনের সব বগির টিকিট ক্রয়ের পাশাপাশি শতাধিক বাস-হাইয়েস ভাড়া করেছে। চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে ৫ থেকে ১০টি বাস ও হাইয়েস ভাড়া করা হয়েছে। এ ছাড়া এমপি প্রার্থীরাও পৃথকভাবে নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন থেকে শুরু করে চট্টগ্রামে ১৬টি আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত এবং মনোনয়নপ্রত্যাশী সব নেতারা ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। অনেকে আবার এরই মধ্যে ঢাকা চলে গেছেন।

রাজশাহী ব্যুরো জানায় : তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজশাহী থেকে ৩৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকায় যাবেন। এ উপলক্ষে রাজশাহী থেকে ট্রেন, বাস, মাইক্রোবাস ও কারে করে ঢাকায় যাবেন নেতাকর্মীরা। যদিও রাজশাহী থেকে কোনো স্পেশাল ট্রেন না থাকলেও বিভিন্ন ট্রেনের অতিরিক্ত বগি লাগানোর কথা জানিয়েছে রেলওয়ে।

রাজশাহী বিএনপির একটি সূত্র বলেছে, রাজশাহী মহানগর ও জেলা থেকে প্রায় ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। দলীয়ভাবে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে নিজে নিজে আলাদাভাবে ঢাকায় গিয়েছেন বা যাচ্ছেন। একইভাবে অনেকে ট্রেনে যাবেন। রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব বাস আগের দিন ও রাতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, রাজশাহী মহানগর থেকে ৭০টি বাস ছাড়াও মাইক্রোবাস ও কারে যাবেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া স্পেশাল ট্রেন ও ট্রেনের বগি বুকিং করা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মী এরই মধ্যে চলে গেছেন, যাঁরা বাকি আছেন তাঁরা বুধবার যাবেন। আমাদের ধারণা রাজশাহী মহানগর থেকে ১৫ থেকে ১৬ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। সেই লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, রাজশাহীর সব উপজেলা থেকে সবমিলিয়ে ২২ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মী যাবেন। বাস যাবেন, মাইক্রোবাস যাবেন, ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে। অনেকে ট্রেনে যাবেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে থেকে চারটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এরই মধ্যে পঞ্চগড়-ঢাকা, চাটমোহর-ঢাকা, যশোর-ঢাকা ও খুলনা-ঢাকা আছে। এ ছাড়া নাটোর-ঢাকার ট্রেনে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে ; এখনও হয়নি। আর রাজশাহী-ঢাকার মধ্যে চলাচল করা একাধিক ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।

সিলেট ব্যুরো জানায়, তারেক রহমানকে বরণ করতে বিভাগ থেকে লক্ষাধিক মানুষ ঢাকায় উপস্থিত হবেন বলে জানিয়েছেন সিলেট বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। লন্ডন থেকে ফেরার পথে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১ ঘণ্টার বিরতি নিয়ে ছেড়ে যাবে ঢাকার উদ্দেশে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সময়ে তারেক রহমান বিমানেই অবস্থান করবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও দেখা হবে না।

কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী জানান, তিনি একদিন আগেই ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সিলেট থেকে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি মিলিয়ে কয়েক হাজার যানবাহনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া একটি বিশেষ ট্রেনও ভাড়া নেওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং এদিন সবগুলো ট্রেনেই আলাদা বগি যুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেটের লক্ষাধিক মানুষ ঢাকা উপস্থিত থাকবেন।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। অন্য বিভাগগুলোর তুলনায় বেশি কর্মী-সমর্থক নিয়ে ঢাকায় উপস্থিত হওয়ার পরিকল্পনা করছেন স্থানীয় নেতারা। বরিশাল বিভাগীয় বিএনপি জানিয়েছে, নেতাকর্মীদের বহনের জন্য বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ৩০টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক বাস আজ বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির (বরিশাল বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বরিশাল বিভাগ থেকে ৫ লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। নেতাকর্মীরা সড়ক ও নদীপথে ঢাকায় যাবেন।

রংপুর প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে রংপুর বিভাগ থেকে বাস, ট্টেন ও মাইক্রোবাসে করে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে শুধু রংপুর জেলা ও মহানগর থেকেই যাবেন ৫০ হাজার নেতাকর্মী। এ ছাড়া গাইবান্ধা থেকে বাস, মাইক্রোবাস ও ট্রেনে করে প্রায় ১২ হাজার নেতাকর্মী ঢাকার জনসভায় যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে গাইবান্ধা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান শহীদ। এরই মধ্যে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে ঢাকায় পৌঁছেছে। এদিকে পঞ্চগড় থেকে ১০০ মাইক্রোবাস, চারটি মিনিবাস ও একটি ট্রেনে করে প্রায় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম কাচ্চু।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আমাদের সময়কে বলেন, শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, সাধারণ জনগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে রংপুর বিভাগ থেকে ঢাকায় যাবেন। কেউ বাসে, কেউ ট্রেনে ঢাকায় যাচ্ছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ জানায় : ময়মনসিংহের ৩০টি সংসদীয় আসন থেকে ১ লাখ ২০ হাজার নেতাকর্মী তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। মঙ্গলবার থেকেই বাস-ট্রেন ও প্রাইভেট কার যোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা জানান : আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগ থেকে যোগ দেবেন ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী। এরই মধ্যে তাঁদের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার থেকেই নেতাকর্মীরা ধাপে ধাপে ঢাকায় যাওয়া শুরু করবেন এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্য তাঁরা সমাবেশস্থলে অবস্থান করবেন। কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া বলেন, দলের আড়াই লাখের বেশি নেতাকর্মী এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বুধবার থেকেই নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে সমাবেশ স্থলে হাজির থাকবেন।

ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান : ফরিদপুর থেকে বাস, ট্রেন ও মাইক্রোবাসে করে বিএনপি-অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ৪০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাচ্ছেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন। জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলা ও ছয়টি পৌরসভার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ উপলক্ষে জেলায় পরিবহন, বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, প্রাইভেট কার ভাড়া করা হয়েছে। অনেকে দুই দিন আগে থেকেই ঢাকায় যাচ্ছেন।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে হবিগঞ্জ থেকে অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জি কে গউছ।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি ১৪০টি বাস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ভাড়া করেছে। ট্রেনে প্রায় আড়াই হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ঢাকায় যেতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ জানান, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ২ হাজার ৫০০ জন যাবেন। ১৪০টি বাসের প্রতিটিতে ৭০ জন করে যাত্রা করবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ন্যূনতম ১০০টি মাইক্রোবাসে আরও ১ হাজার জন এবং আলাদাভাবে আরও ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে সেদিন ঢাকায় যাবে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৬ হাজার নেতাকর্মী যাবেন, তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

যশোর প্রতিনিধি জানান : প্রিয় নেতার আগমনের মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে যশোর থেকে বিএনপির লাখো নেতাকর্মী ঢাকায় হাজির হবেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘তারেক রহমানের আগমনের দিন যশোর থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় হাজির হবেন। পরিবহন সংকটের আশঙ্কায় আমরা বিকল্প হিসেবে ট্রেন ভাড়ার আবেদন করেছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আবার যানবাহন সংকট আশঙ্কায় অনেকে আগেভাগেই ঢাকা যেতে শুরু করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার জানান : তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে? কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন ২০ হাজার নেতাকর্মী। জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী জানিয়েছেন, বাস মাইক্রো বাস, ট্রেন ও বিমানে করে ঢাকায় যাচ্ছেন প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী। এরই মধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকায় চলে গেছেন। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক বাস, মিনিবাস, মাইক্রো নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।

রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বিপণন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার (আজ) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বিএনপির জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ ট্রেন।

লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানের সংবর্ধনা সমাবেশে যোগ দিতে ‘বিশেষ ট্রেন’ বরাদ্দের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে লালমনিরহাট। গতকাল মঙ্গলবার দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে রাখার পর রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিকাল ৩টায় অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এর ফলে লালমনিরহাটের সঙ্গে ঢাকা, রংপুর ও বুড়িমারীসহ সব রুটের ট্রেন চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে।

রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান : বিএনপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি ও দুটি আসনের এমপি প্রার্থী রাজবাড়ী-১ আসনের আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও রাজবাড়ী-২ আসনের মো. হারুন-অর রশীদের উদ্যোগে ২০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু জানিয়েছেন, জেলা বিএনপি ও অন্যান্য সংগঠনের উদ্যোগে ২০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান : তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টাঙ্গাইল থেকে একটি ট্রেন রিজার্ভ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫ শতাধিক গাড়িতে করে ৩০ হাজার নেতাকর্মী যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, টাঙ্গাইল সদরসহ জেলার সব উপজেলা থেকে প্রায় ৩০ হাজর লোক ঢাকা যাবেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন বলেন, টাঙ্গাইল সদর থেকে একটি ট্রেন ও শতাধিক বাস রিজার্ভ করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মীই আগের দিন ঢাকায় চলে যাবেন।