শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় জুমার নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৮

সিরিয়ার হোমস শহরে জুমার নামাজের সময় একটি মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব মসজিদের ভেতরের দেয়াল বিস্ফোরণে পুড়ে কালো হয়ে গেছে। জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে। কিছু ছবিতে মসজিদের কার্পেটে রক্তের দাগও দেখা যায়।

সানা জানিয়েছে, মসজিদের ভেতরে আগে থেকেই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। সুন্নি চরমপন্থি গোষ্ঠী ‘সারায়া আনসার আল-সুন্নাহ’ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী এখনো হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, এই কাপুরুষোচিত হামলা মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের ওপর নগ্ন আঘাত। এর উদ্দেশ্য দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করা।

সারায়া আনসার আল-সুন্নাহ জানিয়েছে, তারা অজ্ঞাতপরিচয় আরেকটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাস্থলে পুঁতে রাখা বিস্ফোরক ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সিরিয়ায় জুমার নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৮

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সিরিয়ার হোমস শহরে জুমার নামাজের সময় একটি মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব মসজিদের ভেতরের দেয়াল বিস্ফোরণে পুড়ে কালো হয়ে গেছে। জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে। কিছু ছবিতে মসজিদের কার্পেটে রক্তের দাগও দেখা যায়।

সানা জানিয়েছে, মসজিদের ভেতরে আগে থেকেই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। সুন্নি চরমপন্থি গোষ্ঠী ‘সারায়া আনসার আল-সুন্নাহ’ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী এখনো হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, এই কাপুরুষোচিত হামলা মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের ওপর নগ্ন আঘাত। এর উদ্দেশ্য দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করা।

সারায়া আনসার আল-সুন্নাহ জানিয়েছে, তারা অজ্ঞাতপরিচয় আরেকটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাস্থলে পুঁতে রাখা বিস্ফোরক ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে।