৩৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের কারণে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাআসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না। এ অবস্থা খেলাপি ঋণের বোঝা থকে মুক্তি পেতে দেশের মানুষের কাছে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা সাহায্য চেয়ে তিনি বলেন, এক বছরের জন্য যদি কেউ এই টাকা আমাকে দিতে পারেন তাহলে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বের হয়ে আসতে ও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবো এবং একবছরের মধ্যেই অর্থপ্রদানকারীকে ওই টাকা পরিশোধ করে দেব।
শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা জানান।
একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, ঋণ পুনঃতফসিলের আবেদন করে ও আদালতে গিয়ে তিনি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের বিএনপি নেতাদের প্রভাব রয়েছে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না জানান, তিনি শিবগঞ্জে একটি হিমাগারের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। ৫ আগস্টের পর ব্যবসার সহযোগী নাজমুল কাদির শাহজাহান দেশ ছেড়ে পালান। ব্যবসার জন্য শিবগঞ্জের ইসলামী ব্যাংক থেকে যে ৩৬ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল তাতে স্বাক্ষরকারী নাজমুল। এখন তিনি স্বাক্ষর করতে না পারায় পুনঃতফসিলের আবেদন করা হলেও আদালতের মাধ্যমে তা আটকে দেয় একটি শ্রেণি। উদ্দেশ্য যাতে মান্না বগুড়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করতে না পারেন।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে রবিবার (আজ) আদালতে একটি রায় হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। রায়টি যদি তার অনুকূলে না আসে তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে তার অনুকূলে রায় না এলে তিনি আরও আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন ।
এই সংকট উত্তরণে সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, সাধারণ নিয়ম আছে, ব্যাংকে ওই টাকা ফেরত দিলে এখান থেকে (ঋণখেলাপি) বেরিয়ে আসা যায়। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সেই বিশ্বাস থেকে যদি কেউ সাহায্য করেন, ব্যবসাটা আছে, সেই ব্যবসা থেকে আমি টাকা পরে বের করে দিতে পারব। এক বছরের জন্য কেউ যদি সাহায্য করেন, আমি এটা থেকে যদি বেরিয়ে আসতে পারি, তাহলে নির্বাচনটি করতে পারব। আমি নির্বাচনটি করতে চাই। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন করা উচিত ও স্বাভাবিক শক্তিতে নির্বাচনটি করতে চাই।

ডেইলি দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 





















