মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফন ঘিরে থাকবে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য : প্রেসসচিব

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে নেওয়া হবে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। বুধবার দুপুরে জানাজার আগে সেখানে নেওয়ার সময় মরদেহবাহী গাড়ির নিরাপত্তায় ১০ হাজার পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সদস্যও দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মি. আলম।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনের পুরো প্রক্রিয়াটি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান।

প্রেসসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা ও কূটনীতিকরা উপস্থিত থাকবেন। কিছুদিন আগে সংসদ ভবন এলাকায় বড় একটি জানাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জানাজা আরো বড় আকারে হবে।

সে আলোকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা—সব কিছু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে। ১০ হাজারের বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য থাকবেন।

এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তার দাফন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ সভায় বসেন উপদেষ্টারা।

তিনি বলেন, ‘এই পুরো বিষয়গুলো উনাদের (বিএনপি) সঙ্গে আমাদের পুরো কো-অর্ডিনেশন হচ্ছে। কো-অর্ডিনেশনের জন্য কমিউনিকেশন মেইনটেইন করা হচ্ছে। প্রতিটা অনুষ্ঠান আমরা সুন্দরভাবে সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং এই বিষয়ে পার্টির তরফ থেকে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া হবে। আমরাও তাদের বলেছি আপনাদের যে ধরনের সহযোগিতা লাগে সেটা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে।

সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা আছে কি না—জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘না, এ জন্যই সর্বোচ্চ সিকিউরিটি কালকে এনশিউর করা হবে। আমাদের ডিএমপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, ডিএমপিপ্রধান বলেছেন যে ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্যান্য যারা সিকিউরিটি এজেন্সির অফিসার আছেন, তারা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীরও তরফ থেকে একটা ব্যবস্থাপনায় থাকবে।’

আজ ভোর ৬টায় ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পরপরই দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেন দলের নেতাকর্মীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফন ঘিরে থাকবে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য : প্রেসসচিব

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে নেওয়া হবে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। বুধবার দুপুরে জানাজার আগে সেখানে নেওয়ার সময় মরদেহবাহী গাড়ির নিরাপত্তায় ১০ হাজার পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সদস্যও দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মি. আলম।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনের পুরো প্রক্রিয়াটি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান।

প্রেসসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা ও কূটনীতিকরা উপস্থিত থাকবেন। কিছুদিন আগে সংসদ ভবন এলাকায় বড় একটি জানাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জানাজা আরো বড় আকারে হবে।

সে আলোকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা—সব কিছু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে। ১০ হাজারের বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য থাকবেন।

এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তার দাফন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ সভায় বসেন উপদেষ্টারা।

তিনি বলেন, ‘এই পুরো বিষয়গুলো উনাদের (বিএনপি) সঙ্গে আমাদের পুরো কো-অর্ডিনেশন হচ্ছে। কো-অর্ডিনেশনের জন্য কমিউনিকেশন মেইনটেইন করা হচ্ছে। প্রতিটা অনুষ্ঠান আমরা সুন্দরভাবে সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং এই বিষয়ে পার্টির তরফ থেকে আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া হবে। আমরাও তাদের বলেছি আপনাদের যে ধরনের সহযোগিতা লাগে সেটা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে।

সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা আছে কি না—জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘না, এ জন্যই সর্বোচ্চ সিকিউরিটি কালকে এনশিউর করা হবে। আমাদের ডিএমপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, ডিএমপিপ্রধান বলেছেন যে ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্যান্য যারা সিকিউরিটি এজেন্সির অফিসার আছেন, তারা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীরও তরফ থেকে একটা ব্যবস্থাপনায় থাকবে।’

আজ ভোর ৬টায় ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পরপরই দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেন দলের নেতাকর্মীরা।