রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহামারি মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে বিশেষ অধিবেশনে ডব্লিউএইচও

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগের মধ্যেই ভবিষ্যৎ মহামারী মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা করতে বিশেষ অধিবেশন শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার (২৯ নভেম্বর) এই অধিবেশনটি  শুরু হয়।
ডব্লিউএইচও সাধারণত প্রতি মে মাসে অধিবেশনে বসে। কিন্তু সংস্থাটির সদস্য দেশগুলো একটি বিশেষ অধিবেশনের আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৯৪৮ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর দ্বিতীয়বারের মতো কোনো বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর আল-জাজিরার।
সংস্থার ১৯৪টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা এই অধিবেশনে ভবিষ্যৎ মহামারী মোকাবিলার বিষয়ে নতুন আন্তর্জাতিক নিয়মের ব্যাপারে আলোচন করবেন। বিশ্বে মহামারী মোকাবিলায় ‘মহামারী চুক্তি’ বা ‘আইনি বাধ্যবাধকতার নির্দেশিকা’র একটি খসড়া রেজ্যুলেশন রিভিউ পর্যায়ে গিয়ে এখন সাময়িকভাবে স্থগিত আছে। খসড়া প্রণেতারা বলছেন, যখন একটি মহামারী আসবে তখন এই চুক্তির ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি যেসব দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে দ্বিধায় আছে তাদেরকে সতর্ক করেছে। তবে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো থেকে ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এর আগে  ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছিলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় বিশ্ব পারস্পারিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারেনি। প্রত্যেকেই দেখেছেন আমরা কি পরিমাণ অসংগঠিত এবং সবাই গ্লোবাল সিস্টেমের ব্যর্থতাও দেখেছেন। তিনি মহামারী মোকাবিলায় বিশ্বের লড়াইকে শক্তিশালী করতে নতুন পথ বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সোমবার সংস্থাটি বলেছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে বৈশ্বিকভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধারাবাহিকভাবে নতুন এই ধরন শনাক্ত হওয়া এবং এক এক করে কয়েকটি দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ডব্লিউএইচও এই কথা বলেছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মহামারি মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে বিশেষ অধিবেশনে ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত সময় : ০৯:৩১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগের মধ্যেই ভবিষ্যৎ মহামারী মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা করতে বিশেষ অধিবেশন শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার (২৯ নভেম্বর) এই অধিবেশনটি  শুরু হয়।
ডব্লিউএইচও সাধারণত প্রতি মে মাসে অধিবেশনে বসে। কিন্তু সংস্থাটির সদস্য দেশগুলো একটি বিশেষ অধিবেশনের আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৯৪৮ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর দ্বিতীয়বারের মতো কোনো বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর আল-জাজিরার।
সংস্থার ১৯৪টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা এই অধিবেশনে ভবিষ্যৎ মহামারী মোকাবিলার বিষয়ে নতুন আন্তর্জাতিক নিয়মের ব্যাপারে আলোচন করবেন। বিশ্বে মহামারী মোকাবিলায় ‘মহামারী চুক্তি’ বা ‘আইনি বাধ্যবাধকতার নির্দেশিকা’র একটি খসড়া রেজ্যুলেশন রিভিউ পর্যায়ে গিয়ে এখন সাময়িকভাবে স্থগিত আছে। খসড়া প্রণেতারা বলছেন, যখন একটি মহামারী আসবে তখন এই চুক্তির ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি যেসব দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে দ্বিধায় আছে তাদেরকে সতর্ক করেছে। তবে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো থেকে ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এর আগে  ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছিলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় বিশ্ব পারস্পারিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারেনি। প্রত্যেকেই দেখেছেন আমরা কি পরিমাণ অসংগঠিত এবং সবাই গ্লোবাল সিস্টেমের ব্যর্থতাও দেখেছেন। তিনি মহামারী মোকাবিলায় বিশ্বের লড়াইকে শক্তিশালী করতে নতুন পথ বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সোমবার সংস্থাটি বলেছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে বৈশ্বিকভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধারাবাহিকভাবে নতুন এই ধরন শনাক্ত হওয়া এবং এক এক করে কয়েকটি দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ডব্লিউএইচও এই কথা বলেছে।