রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের নির্বাচিত সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী

ফের নির্বাচিত হয়েছেন ইউরোপের দেশ সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। গত সপ্তাহে নিয়োগের ১২ ঘণ্টার মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর সোমবার (২৯ নভেম্বর) সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই নেতাকে ফের নির্বাচিত করেন সুইডিশ আইনপ্রণেতারা। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি এক দলীয় সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

দুই দলের জোট সরকার থেকে গ্রিন পার্টি সরে যাওয়ায় পদত্যাগ করেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা অ্যান্ডারসন। তার মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জোটের বাজেট বিল পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর সরকার থেকে সরে যায় গ্রিন পার্টি। আইন অনুযায়ী জোট সরকার থেকে কোনো দল বেরিয়ে গেলে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়।

সুইডিশ পার্লামেন্টে সোমবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ৩৪৯ সদস্যের মধ্যে ১০১ জন অ্যান্ডারসনকে ভোট দেন। আর ৭৩ জন ভোট দানে বিরত থাকেন এবং ১৭৩ জন তার বিরুদ্ধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সুইডেনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পেতে গেলে কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতা কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে না গেলেই হয়।

ভোটাভুটির পর এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন জানান, সুইডেনকে সামনে এগিয়ে নিতে তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত। তার কর্মসূচিতে জলবায়ু পরিবর্তন, সমাজকল্যাণ এবং অপরাধ গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি। কিন্তু অন্য দলের সমর্থন ছাড়া পার্লামেন্টে আইন পাস করতে বেগ পেতে হবে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ডারসনকে।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর সুইডেনের মধ্য-বামপন্থি প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লোফভেন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করায় বুধবার তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। তখন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সুইডেনের ৩৪৯ আসনের পার্লামেন্টে অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ১১৭ জন। আর ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ৫৭ জন। এছাড়া বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন এবং একজন আইনপ্রণেতা অনুপস্থিত ছিলেন।

সুইডেনের আইন অনুযায়ী- সংসদে একজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থনের প্রয়োজন হয় না। প্রার্থীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, তবে ১৭৫ জনকে বিপক্ষে ভোট দিতে হয়।উল্লেখ্য, লৈঙ্গিক সমতায় বিশ্বে উদাহরণ হয়ে থাকলেও সুইডেনে কখনোই নারী প্রধানমন্ত্রী ছিল না। তবে নর্ডিক অন্যান্য দেশ যেমন- ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এবং আইসল্যান্ডে নারীরা সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ফের নির্বাচিত সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

ফের নির্বাচিত হয়েছেন ইউরোপের দেশ সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। গত সপ্তাহে নিয়োগের ১২ ঘণ্টার মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর সোমবার (২৯ নভেম্বর) সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই নেতাকে ফের নির্বাচিত করেন সুইডিশ আইনপ্রণেতারা। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি এক দলীয় সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

দুই দলের জোট সরকার থেকে গ্রিন পার্টি সরে যাওয়ায় পদত্যাগ করেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা অ্যান্ডারসন। তার মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জোটের বাজেট বিল পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর সরকার থেকে সরে যায় গ্রিন পার্টি। আইন অনুযায়ী জোট সরকার থেকে কোনো দল বেরিয়ে গেলে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়।

সুইডিশ পার্লামেন্টে সোমবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ৩৪৯ সদস্যের মধ্যে ১০১ জন অ্যান্ডারসনকে ভোট দেন। আর ৭৩ জন ভোট দানে বিরত থাকেন এবং ১৭৩ জন তার বিরুদ্ধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সুইডেনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পেতে গেলে কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতা কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে না গেলেই হয়।

ভোটাভুটির পর এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন জানান, সুইডেনকে সামনে এগিয়ে নিতে তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত। তার কর্মসূচিতে জলবায়ু পরিবর্তন, সমাজকল্যাণ এবং অপরাধ গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি। কিন্তু অন্য দলের সমর্থন ছাড়া পার্লামেন্টে আইন পাস করতে বেগ পেতে হবে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ডারসনকে।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর সুইডেনের মধ্য-বামপন্থি প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লোফভেন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করায় বুধবার তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। তখন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সুইডেনের ৩৪৯ আসনের পার্লামেন্টে অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ১১৭ জন। আর ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ৫৭ জন। এছাড়া বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন এবং একজন আইনপ্রণেতা অনুপস্থিত ছিলেন।

সুইডেনের আইন অনুযায়ী- সংসদে একজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থনের প্রয়োজন হয় না। প্রার্থীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, তবে ১৭৫ জনকে বিপক্ষে ভোট দিতে হয়।উল্লেখ্য, লৈঙ্গিক সমতায় বিশ্বে উদাহরণ হয়ে থাকলেও সুইডেনে কখনোই নারী প্রধানমন্ত্রী ছিল না। তবে নর্ডিক অন্যান্য দেশ যেমন- ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এবং আইসল্যান্ডে নারীরা সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন।