রাজশাহীর পুঠিয়ার আলোচিত প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি রবিন সরকারের জামিন নাকোচ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহীর নারী শিশু আদালতের বিচারক আসামির জামিন শুনানি শেষে তা বাতিল করেন।
মামলার বাদী ধর্ষিতার চাচা জানান, ২০১৯ সালে বাড়িতে কেউ না থাকা সুযোগে তার প্রতিবন্ধী ভাতিজিকে ধর্ষণ করে ভাড়াটিয়া রবিন সরকার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রবিন ও তার লোকজন মামলা না করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। তবুও তিনি পিছ পা না হয়ে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের পর তার ভাতিজি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে পুঠিয়ার একটি ক্লিনিকে ধর্ষিতার এক আপন জনের সহযোগিতার তার গর্ভপাত করানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম বর্তমানে ঢাকার মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত। এ বিষয়ে জানতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রথম থেকেই এই মামলাটি জট বেঁধেছিল। মামলার বাদী পুলিশের উপর মহলে লিখিত আবেদন করেছিলেন তার প্রেক্ষিতে এই মামলার তদন্তের দায়ভার আমার উপর পড়ে।
তিনি বলেন, মেডিকেল পরীক্ষায় যেখানে বলা হয়েছে সেই প্রতিবন্ধী ৭ সপ্তাহের গর্ভবতী সেখানে পরবর্তীতে তার শরীরে গর্ভপাতের কোন আলামত নেই। মামলাটি আলোচিত বলে মামলার প্রধান আসামি রবিন সরকার হাইকোর্ট থেকে জামিনে আসেন। জামিনে এসে পুনরায় বিভিন্ন ভাবে মামলার বাদীকে হুমকি দিতে থাকেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দাবি এই মামলার পুন-প্রতিবেদনে সকল কিছু তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন এই মামলার আসামি আমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে তার পরেও আমি যা সত্য তাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি।
নারী শিশু আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, এই মামলার ফাইনাল প্রতিবেদন আসার পরে আসামি রবিন সরকার আদালতে হাজিরা দিতে আসলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী আজিজ বাবু বলেন, চলতি মাসের ১৫ তারিখে মামলার আসামি রবিন সরকার জেলে যাওয়ার পর থেকেই আমার উপর বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি আসতে থাকে। এই নিয়ে আমি পুঠিয়া থানায় একটি ডায়রি করেছি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুঠিয়া থানার ডিউটি অফিসার বলেন, আজিজ বাবুকে হুমকি প্রদান নিয়ে একটি ডায়রি হয়েছে সেটি তদন্তের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























