সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাইফুন ‘রাই’র তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ফিলিপাইন, নিহত ৩৩

শক্তিশালী টাইফুন ‘রাই’র তাণ্ডবে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে ফিলিপাইনের কিছু এলাকা। দেশটির মধ্য এবং দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ইতোমধ্যেই ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আলজাজিরা।

উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির সেনা ও জরুরি সেবা বিভাগের ১৮ হাজারের বেশি সদস্য।

টাইফুনের প্রভাবে দেশের বেশির ভাগ প্রদেশে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। একই পরিস্থিতি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থারও।

ঘণ্টায় সর্বোচ্চ প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগের এই ঘূর্ণিঝড় সাম্প্রতিককালে ফিলিপাইনে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিল বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।

শুক্রবার রাতে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যায় ঘূর্ণিঝড়টি। ঝড়ের আগে কমপক্ষে তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছিল।

এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছে প্রশাসন। তাদের বেশির ভাগই বিধ্বস্ত ঘর এবং উপড়ে পড়া গাছ চাপায় মারা গেছেন।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে রয়েছে বেশির ভাগ ঘরবাড়ি। উড়ে গেছে বহু ভবনের ছাদ।

ঘূর্ণিঝড়টি দেশের যে দ্বীপটিতে সবার আগে আছড়ে পড়েছিল, সেই দিনাগাটের পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ধসে পড়ার জেরে সেখানকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে দ্বীপটির গভর্নর আর্লিন ব্যাগ-আও প্রদেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘দ্বীপটি পুরো মাটিতে মিশে গেছে।’

আনন্দবাজার জানায়, দিনাগাটের হাসপাতালগুলো প্রত্যেকটিই ক্ষতিগ্রস্ত। দ্বীপের বাইরে যাওয়ায় ব্যবহৃত যানগুলো আর পানিতে নামানোর অবস্থায় নেই। দ্বীপটির ৯৫ শতাংশ বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে।

প্রতিবেশী দ্বীপ শিয়ারগাও’র অবস্থাও ভয়াবহ। বোহোল প্রদেশেও ঘূর্ণিঝড়ের বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।

প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে জানান, করোনা মহামারী মোকাবিলায় দেশের আপৎকালীন তহবিলের বেশির ভাগই খরচ হয়ে গেছে। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব প্রশাসনকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে।

প্রদেশগুলোতে সাহায্য পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

টাইফুন ‘রাই’র তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ফিলিপাইন, নিহত ৩৩

প্রকাশিত সময় : ১১:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

শক্তিশালী টাইফুন ‘রাই’র তাণ্ডবে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে ফিলিপাইনের কিছু এলাকা। দেশটির মধ্য এবং দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ইতোমধ্যেই ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আলজাজিরা।

উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির সেনা ও জরুরি সেবা বিভাগের ১৮ হাজারের বেশি সদস্য।

টাইফুনের প্রভাবে দেশের বেশির ভাগ প্রদেশে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। একই পরিস্থিতি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থারও।

ঘণ্টায় সর্বোচ্চ প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগের এই ঘূর্ণিঝড় সাম্প্রতিককালে ফিলিপাইনে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিল বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।

শুক্রবার রাতে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যায় ঘূর্ণিঝড়টি। ঝড়ের আগে কমপক্ষে তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছিল।

এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছে প্রশাসন। তাদের বেশির ভাগই বিধ্বস্ত ঘর এবং উপড়ে পড়া গাছ চাপায় মারা গেছেন।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে রয়েছে বেশির ভাগ ঘরবাড়ি। উড়ে গেছে বহু ভবনের ছাদ।

ঘূর্ণিঝড়টি দেশের যে দ্বীপটিতে সবার আগে আছড়ে পড়েছিল, সেই দিনাগাটের পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ধসে পড়ার জেরে সেখানকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে দ্বীপটির গভর্নর আর্লিন ব্যাগ-আও প্রদেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ‘দ্বীপটি পুরো মাটিতে মিশে গেছে।’

আনন্দবাজার জানায়, দিনাগাটের হাসপাতালগুলো প্রত্যেকটিই ক্ষতিগ্রস্ত। দ্বীপের বাইরে যাওয়ায় ব্যবহৃত যানগুলো আর পানিতে নামানোর অবস্থায় নেই। দ্বীপটির ৯৫ শতাংশ বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে।

প্রতিবেশী দ্বীপ শিয়ারগাও’র অবস্থাও ভয়াবহ। বোহোল প্রদেশেও ঘূর্ণিঝড়ের বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।

প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে জানান, করোনা মহামারী মোকাবিলায় দেশের আপৎকালীন তহবিলের বেশির ভাগই খরচ হয়ে গেছে। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব প্রশাসনকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে।

প্রদেশগুলোতে সাহায্য পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।