সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সু চির মামলার রায় স্থগিত

TOPSHOT - Myanmar's State Counsellor Aung San Suu Kyi looks on before the UN's International Court of Justice on December 11, 2019 in the Peace Palace of The Hague, on the second day of her hearing on the Rohingya genocide case. - Aung San Suu Kyi appears at the UN's top court today, a day after the former democracy icon was urged to "stop the genocide" against Rohingya Muslims. Once hailed internationally for her defiance of Myanmar's junta, the Nobel peace laureate will this time be on the side of the southeast Asian nation's military when she takes the stand at the International Court of Justice. (Photo by Koen Van WEEL / ANP / AFP) / Netherlands OUT (Photo by KOEN VAN WEEL/ANP/AFP via Getty Images)

সেনাবাহিনীর বিতর্কিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে ওয়াকিটকির অবৈধ আমদানি ও রাখার অপরাধে করা মামলার রায় হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) শান্তিতে নোবেল জয়ীর এই নেত্রীর বিরুদ্ধে রায়টি ঘোষণার কথা ছিল। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

সংবাদে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী সু চি ওয়াকিটকির অবৈধ আমদানি এবং রাখার অপরাধে সামরিক আদালতে রায় ঘোষণা দিন নির্ধারণ ছিল। হঠাৎ কি কারণে স্থগিত করা হয়েছে তা নিশ্চিত করা হয়নি। এমনকি বিচারক এর কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।

কোভিড-১৯ বিধি সংক্রান্ত নিয়ম ভঙ্গ এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ উসকে দেওয়ায় চলতি মাসের শুরুতে চার বছরের সাজা প্রদান করে আদালত। যদিও দুই বছর মওকুফ করে রাজধানী নেপিদোতে গৃহবন্দি অবস্থায় সাজা ভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।

ওয়াকিটকির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছরের সাজার মুখোমুখি হতে পারে নোবেল বিজয়ী সু চির। যদিও তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে। সবগুলোর বিচারকার্য এখনো চলছে। এসব রায় সু চির বিরুদ্ধে গেলে আজীবন বন্দি থাকতে হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে বার্মিজ সেনাবাহিনী। এরপর বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।

অভ্যুত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সী গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলো যেসব অভিযোগে করা হয়েছে, সেসব হলো- রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওয়াকি টকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্য সংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় গাফিলতি।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চিকে গৃহবন্দি এবং ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় বসে সামরিক বাহিনী। চলতি বছরের জুন মাস থেকে রাজধানী নেইপিদোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সু চির মামলার রায় স্থগিত

প্রকাশিত সময় : ০২:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

সেনাবাহিনীর বিতর্কিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে ওয়াকিটকির অবৈধ আমদানি ও রাখার অপরাধে করা মামলার রায় হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) শান্তিতে নোবেল জয়ীর এই নেত্রীর বিরুদ্ধে রায়টি ঘোষণার কথা ছিল। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

সংবাদে বলা হয়, ৭৬ বছর বয়সী সু চি ওয়াকিটকির অবৈধ আমদানি এবং রাখার অপরাধে সামরিক আদালতে রায় ঘোষণা দিন নির্ধারণ ছিল। হঠাৎ কি কারণে স্থগিত করা হয়েছে তা নিশ্চিত করা হয়নি। এমনকি বিচারক এর কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।

কোভিড-১৯ বিধি সংক্রান্ত নিয়ম ভঙ্গ এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ উসকে দেওয়ায় চলতি মাসের শুরুতে চার বছরের সাজা প্রদান করে আদালত। যদিও দুই বছর মওকুফ করে রাজধানী নেপিদোতে গৃহবন্দি অবস্থায় সাজা ভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।

ওয়াকিটকির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছরের সাজার মুখোমুখি হতে পারে নোবেল বিজয়ী সু চির। যদিও তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে। সবগুলোর বিচারকার্য এখনো চলছে। এসব রায় সু চির বিরুদ্ধে গেলে আজীবন বন্দি থাকতে হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে বার্মিজ সেনাবাহিনী। এরপর বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।

অভ্যুত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সী গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলো যেসব অভিযোগে করা হয়েছে, সেসব হলো- রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওয়াকি টকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্য সংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় গাফিলতি।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চিকে গৃহবন্দি এবং ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় বসে সামরিক বাহিনী। চলতি বছরের জুন মাস থেকে রাজধানী নেইপিদোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।