সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবেলজয়ী দ. আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন

শান্তিতে নোবেলজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন। রবিবার (২৬ ) বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দক্ষিণ আফিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দক্ষিণ আফিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, আজকে জাতিকে আরেক অসামান্য ব্যক্তিত্বকে বিদায় জানাতে হচ্ছে। যিনি স্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে গত ১১ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সমসাময়িক প্রেসিডেন্ট ফ্রেডারিক উইলিয়াম ডে ক্লার্ক (এফ. ডব্লিউ. ডে ক্লার্ক) মারা যান। তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে আসীন ছিলেন। টুটুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, তিনি নিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক, গণমানুষের নেতা এবং দল-মত-বিশ্বাসের উর্ধ্বে।

ডেসমন্ড টুটু একজন দক্ষিণ আফ্রিকান ধর্মযাজক ও অধিকার আন্দোলন কর্মী। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

তিনি একজন ধর্মযাজক ও অধিকার আন্দোলন কর্মী। এইডস ও যক্ষ্মা প্রতিরোধে তিনি অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখছেন। এছাড়াও, দারিদ্রতা, বর্ণবাদ, যৌনতা ইত্যাদি বিরোধী প্রচারণায় তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।

১৯৮৪ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৯ সালে সিডনী শান্তি পুরস্কারসহ ২০০৭ সালে গান্ধী শান্তি পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

তার জন্ম ১৯৩১ সালের ৭ই অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের ক্লের্কড্রপ। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে (১৯৬২-৬৬) ধর্মতত্ত্বে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করলেন টুটু। তারপর দক্ষিণ আফ্রকায় ফিরে আসেন; এবং ধর্মতত্ত্ব পড়াতে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন টুটু। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ নিরসনে তার বিশাল অবদান রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

নোবেলজয়ী দ. আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন

প্রকাশিত সময় : ০৪:০৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

শান্তিতে নোবেলজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু মারা গেছেন। রবিবার (২৬ ) বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দক্ষিণ আফিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দক্ষিণ আফিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, আজকে জাতিকে আরেক অসামান্য ব্যক্তিত্বকে বিদায় জানাতে হচ্ছে। যিনি স্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে গত ১১ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সমসাময়িক প্রেসিডেন্ট ফ্রেডারিক উইলিয়াম ডে ক্লার্ক (এফ. ডব্লিউ. ডে ক্লার্ক) মারা যান। তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে আসীন ছিলেন। টুটুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, তিনি নিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক, গণমানুষের নেতা এবং দল-মত-বিশ্বাসের উর্ধ্বে।

ডেসমন্ড টুটু একজন দক্ষিণ আফ্রিকান ধর্মযাজক ও অধিকার আন্দোলন কর্মী। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

তিনি একজন ধর্মযাজক ও অধিকার আন্দোলন কর্মী। এইডস ও যক্ষ্মা প্রতিরোধে তিনি অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখছেন। এছাড়াও, দারিদ্রতা, বর্ণবাদ, যৌনতা ইত্যাদি বিরোধী প্রচারণায় তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।

১৯৮৪ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৯ সালে সিডনী শান্তি পুরস্কারসহ ২০০৭ সালে গান্ধী শান্তি পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

তার জন্ম ১৯৩১ সালের ৭ই অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের ক্লের্কড্রপ। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে (১৯৬২-৬৬) ধর্মতত্ত্বে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করলেন টুটু। তারপর দক্ষিণ আফ্রকায় ফিরে আসেন; এবং ধর্মতত্ত্ব পড়াতে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন টুটু। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ নিরসনে তার বিশাল অবদান রয়েছে।