যৌন হয়রানির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে মামলার মুখোমুখি হওয়ায় সামরিক খেতাব ও রাজকীয় উপাধি হারিয়েছেন যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রু। এখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিন্স অ্যান্ড্রু নিজের খেতাব ও উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না।

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলা যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মূলত এর পরপরই বাকিংহাম প্যালেস ঘোষণাটি দেয়। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ তথ্যটি জানিয়েছে।

গণমাধ্যমটি বলছে, ৬১ বছর বয়সী প্রিন্স অ্যান্ড্রু এখন থেকে আর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজকীয় খেতাব ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ ব্যবহার করবেন না। বিবৃতির মাধ্যমে বাকিংহাম প্যালেস জানায়, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অনুমোদন ও সম্মতিতে ডিউক অব ইয়র্কের সামরিক উপাধি ও রাজকীয় সম্মান ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন ভার্জিনিয়া জোফ্রে নামে এক নারী। ওই নারীর দাবি, ২০০১ সালে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর হাতে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। অবশ্য যৌন নিপীড়নের সেই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই সদস্য।

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো বলছে, রাজকীয় ও সামরিক খেতাব হারালেও ভার্জিনিয়া জোফ্রের করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন অব্যাহত রাখবেন তিনি

উল্লেখ্য, চলমান আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে অবশ্য কোনো ধরনের মন্তব্য না করার ঘোষণা দিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস।