শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যু গায়িকার

চেক প্রজাতন্ত্রের এক লোকগানের শিল্পী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে তার এ মৃত্যুকে অনেকটা স্বেচ্ছা মৃত্যুই বলা যায়। কারণ তার স্বামী ও সন্তানের করোনা শনাক্ত হওয়ার পরও তাদের থেকে দূরে থাকেননি লোক সংগীতশিল্পী হানা হোরকা (৫৭)।

তাকে অন্যরা অনেকবার বাধা দিলেও শোনেননি, বলা যায় স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসকে তেমন গুরুত্ব দিতেন না গায়িকা হানা হোরকা। তাই করোনার টিকা নেয়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি। এর মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই কথা বলার দুই দিন পরই তিনি মারা গেলেন।

হানা হোরকার ছেলে জন র‍্যাক বলেন, বাবার সঙ্গে তিনি দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। এরপরও তারা করোনা পজিটিভ হন। তাদের থেকে হানা হোরকাকে দূরে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার মা সেটা শোনেননি। পরে ইচ্ছাকৃতভাবেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর তাদের থেকে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য তার মায়ের দূরে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি পুরোটা সময় স্বামী-সন্তানের সঙ্গেই ছিলেন। তিনি মনে করতেন টিকা নেয়ার চেয়ে আক্রান্ত হয়ে যাওয়া ভালো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যু গায়িকার

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

চেক প্রজাতন্ত্রের এক লোকগানের শিল্পী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে তার এ মৃত্যুকে অনেকটা স্বেচ্ছা মৃত্যুই বলা যায়। কারণ তার স্বামী ও সন্তানের করোনা শনাক্ত হওয়ার পরও তাদের থেকে দূরে থাকেননি লোক সংগীতশিল্পী হানা হোরকা (৫৭)।

তাকে অন্যরা অনেকবার বাধা দিলেও শোনেননি, বলা যায় স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসকে তেমন গুরুত্ব দিতেন না গায়িকা হানা হোরকা। তাই করোনার টিকা নেয়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি। এর মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই কথা বলার দুই দিন পরই তিনি মারা গেলেন।

হানা হোরকার ছেলে জন র‍্যাক বলেন, বাবার সঙ্গে তিনি দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। এরপরও তারা করোনা পজিটিভ হন। তাদের থেকে হানা হোরকাকে দূরে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার মা সেটা শোনেননি। পরে ইচ্ছাকৃতভাবেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর তাদের থেকে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য তার মায়ের দূরে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি পুরোটা সময় স্বামী-সন্তানের সঙ্গেই ছিলেন। তিনি মনে করতেন টিকা নেয়ার চেয়ে আক্রান্ত হয়ে যাওয়া ভালো।