বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছদ্মবেশে ২০ বছর, অবশেষে র‍্যাবের হাতে ধরা ফাঁসির আসামি

দুই দশক পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী ‘জানে আলম’ হত্যা মামলার আসামি সৈয়দ আহমেদকে আটক করেছে র‍্যাব।

গ্রেপ্তার সৈয়দ আহম্মেদের বয়স এখন ৬০ বছর। তার বাড়িও লোহাগাড়ার আমিরাবাদে। গত ২০ বছর ধরে উদ্বাস্তু, বাবুর্চি ও দারোয়ানের ছদ্মবেশে পলাতক ছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার।

এর আগে ২০০২ সালের ৩০ মার্চ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়ী জানে আলমকে তার এক বছরের শিশুর সামনে হত্যা করে সৈয়দ বাহিনী ও তার সন্ত্রাসীরা।

ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করা সেই মামলায় আদালত ১২ জনকে ফাঁসি এবং ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরবর্তীকালে আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে আপীল করলে সুপ্রীম কোর্ট সৈয়দ আহম্মেদসহ মোট ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার জানান, এ হত্যাকাণ্ডের পর ২০ বছর আসামি সৈয়দ আহম্মেদ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিভিন্ন ডাকাত দলের সাথে সমুদ্র পাড়ি দেয়। পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। কিছুদিন উপকূলীয় এলাকায় এবং পরে সীতাকুণ্ডে অবস্থান করেন। বিভিন্ন মাজার এলাকায় বাবুর্চির কাজ করেন। এছাড়াও আকবরশাহ থানায় একটি বাড়িতে দারোয়ানের ছদ্মবেশে কাজ করেন। পরিচয় গোপন রাখতে দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করিয়ে নেন তিনি।

গোপনে খবরের ভিত্তিতে ২০ বছর ধরে পালিয়ে ও দারোয়ান সেজে পলাতক মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ আহমেদকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‍্যাবের একটি দল।বাংলাদেশ জার্নাল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ছদ্মবেশে ২০ বছর, অবশেষে র‍্যাবের হাতে ধরা ফাঁসির আসামি

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

দুই দশক পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী ‘জানে আলম’ হত্যা মামলার আসামি সৈয়দ আহমেদকে আটক করেছে র‍্যাব।

গ্রেপ্তার সৈয়দ আহম্মেদের বয়স এখন ৬০ বছর। তার বাড়িও লোহাগাড়ার আমিরাবাদে। গত ২০ বছর ধরে উদ্বাস্তু, বাবুর্চি ও দারোয়ানের ছদ্মবেশে পলাতক ছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার।

এর আগে ২০০২ সালের ৩০ মার্চ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়ী জানে আলমকে তার এক বছরের শিশুর সামনে হত্যা করে সৈয়দ বাহিনী ও তার সন্ত্রাসীরা।

ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করা সেই মামলায় আদালত ১২ জনকে ফাঁসি এবং ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরবর্তীকালে আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে আপীল করলে সুপ্রীম কোর্ট সৈয়দ আহম্মেদসহ মোট ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার জানান, এ হত্যাকাণ্ডের পর ২০ বছর আসামি সৈয়দ আহম্মেদ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। চট্টগ্রামের বাঁশখালী বিভিন্ন ডাকাত দলের সাথে সমুদ্র পাড়ি দেয়। পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। কিছুদিন উপকূলীয় এলাকায় এবং পরে সীতাকুণ্ডে অবস্থান করেন। বিভিন্ন মাজার এলাকায় বাবুর্চির কাজ করেন। এছাড়াও আকবরশাহ থানায় একটি বাড়িতে দারোয়ানের ছদ্মবেশে কাজ করেন। পরিচয় গোপন রাখতে দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করিয়ে নেন তিনি।

গোপনে খবরের ভিত্তিতে ২০ বছর ধরে পালিয়ে ও দারোয়ান সেজে পলাতক মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ আহমেদকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‍্যাবের একটি দল।বাংলাদেশ জার্নাল