মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এরদোগানের প্রস্তাবকে স্বাগত জেলেনস্কির

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা প্রশমনে ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেওয়ায় আমি তুর্কি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা খবরটি জানিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছিলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কখনো যুদ্ধ চায় না তুরস্ক। এটি এই অঞ্চলের জন্য কখনো মঙ্গলজনক কিছু নয়। ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এমন কিছু চাই না। আমরা এটা গ্রহণ করব না। আশা করি শান্তিপূর্ণভাবেই চলমান সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারব।

ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গে তুরস্কের সুসম্পর্ক রয়েছে। যদিও সিরিয়া ও লিবিয়া ইস্যুতে আঙ্কারার অবস্থান মস্কোর নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখলেরও বিরোধী আঙ্কারা। এ দিকে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে আঙ্কারার। অন্য দিকে ইউক্রেনের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন বিক্রি করেছে তুরস্ক। এসব ড্রোন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তুর্কি ড্রোন রফতানির ঘটনাটি মস্কোকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।এর মধ্যেই গত সপ্তাহে এরদোগান দাবি করেন, ইউক্রেনে আক্রমণ চালানো রাশিয়ার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সে ক্ষেত্রে ন্যাটো সদস্য হিসেবে তুরস্কের যা করা প্রয়োজন তা-ই করবে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এরদোগানের প্রস্তাবকে স্বাগত জেলেনস্কির

প্রকাশিত সময় : ০৬:১২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা প্রশমনে ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেওয়ায় আমি তুর্কি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা খবরটি জানিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছিলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কখনো যুদ্ধ চায় না তুরস্ক। এটি এই অঞ্চলের জন্য কখনো মঙ্গলজনক কিছু নয়। ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এমন কিছু চাই না। আমরা এটা গ্রহণ করব না। আশা করি শান্তিপূর্ণভাবেই চলমান সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারব।

ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গে তুরস্কের সুসম্পর্ক রয়েছে। যদিও সিরিয়া ও লিবিয়া ইস্যুতে আঙ্কারার অবস্থান মস্কোর নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখলেরও বিরোধী আঙ্কারা। এ দিকে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে আঙ্কারার। অন্য দিকে ইউক্রেনের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন বিক্রি করেছে তুরস্ক। এসব ড্রোন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তুর্কি ড্রোন রফতানির ঘটনাটি মস্কোকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।এর মধ্যেই গত সপ্তাহে এরদোগান দাবি করেন, ইউক্রেনে আক্রমণ চালানো রাশিয়ার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সে ক্ষেত্রে ন্যাটো সদস্য হিসেবে তুরস্কের যা করা প্রয়োজন তা-ই করবে