হাফভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের তিনিটি বাস আটকে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া দুইটায় মিরপুর রোড থেকে প্রথমে ১টি বাস আটক করে নায়েমের গলিতে নিয়ে আসেন তারা। এরপর কলেজের সামনে আরও দুটি বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম শিমুল শিকারি। তিনি ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় তার ওপর চড়াও হন মৌমিতা বাসের সহকারি। অভিযুক্ত বাসের নম্বর নম্বর (ঢাকা মেট্রো ব ১১৮৮৩৫)।
আহত শিমুলের সাথে থাকা সহপাঠী আরিফ হাসান বলেন, শিমুলকে মারধরের পর সে স্থানীয় পুলিশ বক্সে আশ্রয় নেয়। সে মাথায়, পায়ে ও গলায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। খবর পেয়ে আমি এসে প্রথমে তাকে নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নিয়ে যাই। সিটিস্ক্যান করানোর পর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল থেকে পায়ে ব্যান্ডেজ করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমরা এখন মোহাম্মদপুর থানায় আছি। অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, ইতোপূর্বেও এরকম ঘটনায় আমরা বাস মালিকদের সাথে একাধিকবার স্থানীয় থানা পুলিশ প্রশাসনসহ মিটিং করেছি। বাসে ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও উদ্বেগের। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। শুনেছি ওই শিক্ষার্থী শ্যামলীতে মারধরের শিকার হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিব।
মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লি. এর বাস আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, কলেজের গলিতে বাস আটকের বিষয়টি আমার জানা নেই। সিনিয়র শিক্ষকরা বিষয়টি দেখছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

























