মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাইডেন-পুতিন ফোনালাপ শনিবার

টেলিফোনে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র সময় শনিবার সকালে ক্ষমতাধর দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান  কথা বলবেন। যেখানে প্রাধান্য পাবে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়ার সংকট।

রাশিয়া উভয় নেতার ফোনালাপ সোমবার করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, যেকোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালাতে পারে। এমন আশঙ্কার মধ্যে নিজেদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে পাঁচটি দেশ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউস নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সতর্ক করে বলেন, ‘ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য রুশ বাহিনী চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। যদিও আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুই বলতে পারবো না, তবে এটা বলতে পারি, বর্তমানে সামরিক আগ্রাসনের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়েছে।’

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ৯ ঘণ্টা ধরে চলা সমঝোতা বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার জেরে তিনি এ ঘোষণা দেন।

একই দিন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশনা দেয়। একই ঘোষণা দিয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডস সরকার। লাটভিয়া সরকারও ইউক্রেনে অবস্থান করা তাদের নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। যেকোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে পারে। তবে রাশিয়া বারবারই পশ্চিমাদের তোলা এ অভিযোগ অস্বীকার করছে। বলছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বাইডেন-পুতিন ফোনালাপ শনিবার

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

টেলিফোনে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র সময় শনিবার সকালে ক্ষমতাধর দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান  কথা বলবেন। যেখানে প্রাধান্য পাবে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়ার সংকট।

রাশিয়া উভয় নেতার ফোনালাপ সোমবার করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, যেকোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালাতে পারে। এমন আশঙ্কার মধ্যে নিজেদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে পাঁচটি দেশ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউস নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সতর্ক করে বলেন, ‘ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য রুশ বাহিনী চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। যদিও আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুই বলতে পারবো না, তবে এটা বলতে পারি, বর্তমানে সামরিক আগ্রাসনের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়েছে।’

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ৯ ঘণ্টা ধরে চলা সমঝোতা বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার জেরে তিনি এ ঘোষণা দেন।

একই দিন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশনা দেয়। একই ঘোষণা দিয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডস সরকার। লাটভিয়া সরকারও ইউক্রেনে অবস্থান করা তাদের নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। যেকোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে পারে। তবে রাশিয়া বারবারই পশ্চিমাদের তোলা এ অভিযোগ অস্বীকার করছে। বলছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।