আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশ্বজুড়ে পালন হচ্ছে ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন’স ডে। দিনটিকে বিভিন্ন ভাবে উদযাপন করছেন প্রেমিক যুগলরা। ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে ভালোবাসার সপ্তাহ। রোজ ডে দিয়ে শুরু, মাঝে অন্যান্য দিবস শেষ করে আজ ভালোবাসা সপ্তাহের শেষ দিন। অর্থাৎ ভালোবাসা দিবস দিয়েই শেষ হচ্ছে এই ভালোবাসার সপ্তাহটি।
তবে এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি মারে যে, কীভাবে এলো এই ভ্যালেন্টাইন’স ডে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ভালোবাসা দিবস উৎপত্তির ইতিহাস-
১৪ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে ধর্মযাজক ভ্যালেন্টাইনের উৎসব। ভ্যালেন্টাইন ছিলেন ক্যাথলিক ধর্মযাজক, যিনি খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকের কোনো এক বছরের এই দিনে রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস দ্বিতীয় দ্বারা প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন।
তার মৃত্যুদণ্ডকে ঘিরে অনেক পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে। সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি কাহিনিতে উল্লেখ আছে, তিনি ছিলেন ধর্মযাজক। যিনি ক্লডিয়াস কর্তৃক যুবকদের বিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণার (যেহেতু অবিবাহিত যুবকরা ছিল সেরা সৈন্য) পর যুবক-যুবতীদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করেন। অন্য এক কাহিনিতে আছে, তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কারারুদ্ধ ক্যাথলিকদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন।
যাই হোক, এ দিবসটি সম্ভবত পৌত্তলিকদের উৎসব লুপারক্যালিয়াকে ম্লান করতে প্রমোট করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির ১৩ ও ১৫ তারিখের মধ্যে একটি ছাগল ও একটি কুকুর উৎসর্গ করে এবং নারীদের উৎসর্গকৃত পশুর চামড়া দিয়ে চাবুক মেরে রোমানরা লুপারক্যালিয়া উৎসব উদযাপন করত। এটি অসভ্যতা মনে হতে পারে, কিন্তু তারা বিশ্বাস করত যে, এটি নারীদের আরো ঊর্বর করবে এবং প্রকৃতপক্ষে নারীরাও চাবুকের অত্যাচার সহ্য করার জন্য অপেক্ষা করত।
পঞ্চম শতকে পোপ গেলানিয়াস প্রথম লুপারক্যালিয়া নিষিদ্ধ করেন এবং ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। এখন দিনটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটা করে পালিত হয়। তবে ভ্যালেন্টাইন’স ডে জাপানে ভিন্নভাবে পালিত হয়। যেমন: গুড হাউজকিপিংয়ের এক গবেষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপহারের পেছনে পুরুষরা নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু জাপানে উপহার কেনে মূলত নারীরা, যেখানে পুরুষরা সাধারণত উপহার গ্রহণ করে। ১৯৩৬ সালে চকলেট কোম্পানি মরোজপ দেশটিতে ভালোবাসা দিবসের প্রচলন ঘটান। আমাদের দেশে যেমন এটি করেছিলেন সাংবাদিক, কলামিস্ট শফিক রেহমান।
জাপানে দিবসটি উদযাপন করা হয় ভিন্নভাবে। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে নারীরা পুরুষদের চকলেট উপহার দেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, নারীরাও পৃথক একটি দিনে চকলেট উপহার পেয়ে থাকে এবং দিনটি হলো ১৪ মার্চ। জাপানিরা এ দিনকে ‘হোয়াইট ডে’ হিসেবে পালন করে। এ দিন জাপানি পুরুষরা নারীদের প্রতিদান ও উপহার (প্রায়ক্ষেত্রে হোয়াইট চকলেট) দিয়ে থাকে।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 
























