মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাক্তার সেজে ১৪ নারীকে বিয়ে, অবশেষে গ্রেফতার

ডাক্তার সেজে ১৪ জন নারীকে বিয়ে করে অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পরেছে বিধুপ্রকাশ সোয়াইন ওরফে রমেশ (৫৪) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে  ভারতের ওড়িশায়।

এই ব্যক্তি মূলত মধ্যবয়সি অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের টার্গেট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওড়িশার ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উমাশংকর দাস জানান, ওড়িশা ছাড়াও পাঞ্জাব, দিল্লি, আসাম, ঝাড়খণ্ডের মোট ৭টি শহরে  নিজের পরিচয় দিয়ে ডাক্তার বলে প্রতারণার করে আসছেন বিধুপ্রকাশ।কোথাও কোথাও সরকারি অফিসারের পরিচয়ও দিয়েছেন তিনি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিয়ে সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলো ছিলো তার লক্ষ্য। পুলিশ জানতে পেরেছে, তার টার্গেট করা নারীরা বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী।

তাদের বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার উদ্দেশ্য বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

জানা যায়, ২০০২ সাল থেকেই তাঁর এই বিয়ের নামে প্রতারণার সূত্রপাত। এইভাবেই চলেছিল ১৯ বছর। ২০২১ সালের জুলাই মাসে দিল্লির এক স্কুল শিক্ষিকা জানতে পারেন অভিযুক্তের একাধিক বিয়ের বিষয়ে। এরপরই তিনি পুলিশের শরণাপন্ন হন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ডাক্তার সেজে ১৪ নারীকে বিয়ে, অবশেষে গ্রেফতার

প্রকাশিত সময় : ০৪:০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ডাক্তার সেজে ১৪ জন নারীকে বিয়ে করে অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পরেছে বিধুপ্রকাশ সোয়াইন ওরফে রমেশ (৫৪) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে  ভারতের ওড়িশায়।

এই ব্যক্তি মূলত মধ্যবয়সি অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের টার্গেট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওড়িশার ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উমাশংকর দাস জানান, ওড়িশা ছাড়াও পাঞ্জাব, দিল্লি, আসাম, ঝাড়খণ্ডের মোট ৭টি শহরে  নিজের পরিচয় দিয়ে ডাক্তার বলে প্রতারণার করে আসছেন বিধুপ্রকাশ।কোথাও কোথাও সরকারি অফিসারের পরিচয়ও দিয়েছেন তিনি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিয়ে সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলো ছিলো তার লক্ষ্য। পুলিশ জানতে পেরেছে, তার টার্গেট করা নারীরা বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী।

তাদের বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার উদ্দেশ্য বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

জানা যায়, ২০০২ সাল থেকেই তাঁর এই বিয়ের নামে প্রতারণার সূত্রপাত। এইভাবেই চলেছিল ১৯ বছর। ২০২১ সালের জুলাই মাসে দিল্লির এক স্কুল শিক্ষিকা জানতে পারেন অভিযুক্তের একাধিক বিয়ের বিষয়ে। এরপরই তিনি পুলিশের শরণাপন্ন হন।