প্রেমিকার অশ্লীল ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া এবং পরিবারের কাছে চাঁদা দাবির মামলায় ঢাকার শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: জিয়াউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা বেগম এইসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম ইমরান শেখ ওরফে ইমন(২৭)। তিনি বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিলগোপালহাটি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। ২০১৯ সালে যখন মামলাটি দায়ের হয়, তখন ইমরান ঢাকার শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা বলেন, আসামি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৩ ও ২৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৩ ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। আর ২৫ ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একটির সাজার পর আরেকটি সাজা কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বগুড়ার এক তরুণীর সাথে ইমরানের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরবর্তীতে ইমরানের আচরণ ভালো না ঠেকায় ওই তরুণী যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইমরান তার প্রেমিকার ছবি এডিট করে ছড়াতে শুরু করেন। ওই তরুণীর বান্ধবীসহ বিভিন্নজনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তিনি অশ্লীল সেসব ছবি ছড়াতে থাকেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক: 






















