মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫

ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে প্রবল বৃষ্টির পর বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ জনে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন চারশোর বেশি মানুষ। এখনো চলছে উদ্ধারকাজ। এ পর্যন্ত ২৪ জনকে উদ্ধার করার খবর মিলেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের গভর্নর ক্লদিও কাস্ত্রো।
রিও ডি জেনিরো রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১০৫ জন। পেট্রোপোলিস শহরের বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মাটি ধসে এখনো কতজন মানুষ আটকা পড়ে আছে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
শহরটির মেয়র রুবেনস বোমটেম্পো এটি একটি কঠিন সময় উল্লেখ করে জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ চলছে, কতজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫
 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫

ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫
ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫

ভুক্তভোগীদের স্বজনরা গত মঙ্গলবার থেকে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু খোঁজ মিলছে না অনেকের। রিও ডি জেনিরোর পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, তারা ৩৫ জন নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পেট্রোপোলিস শহরে মাত্র তিন ঘণ্টায় ২৫ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার (১০ ইঞ্চির বেশি) বৃষ্টির পর থেকে এ দুর্যোগের শুরু। ওই এলাকায় আগের ৩০ দিন মিলিয়েও এত বৃষ্টি হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ভূমিধসে অনেক বাড়ি-গাড়ি ভেসে যেতে দেখা গেছে। পেট্রোপোলিস ও এর আশপাশের এলাকাগুলো বন্যায় থইথই। স্থানীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, বহু বাড়ি কাদামাটিতে তলিয়ে রয়েছে। সেখানে এখনো উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেননি।
রিও ডি জেনিরোর গভর্নর ক্লদিও কাস্ত্রো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে ১৯৩২ সালের পর থেকে পেট্রোপোলিসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে এবার। কাস্ত্রো আরও বলেন, পূর্বাভাসে বিষয়টি মোটেও ধারণা করা যায়নি যে এতো বৃষ্টি হবে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো এক টুইটে বলেছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত সহায়তা দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। হতাহতদের স্মরণে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যটিতে।
দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আরও বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হয় বছরের শুরুতেই। বিশেষ করে জানুয়ারির শুরুতে মিনাস গেরাইস রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। মাসের শেষের দিকে সাও পাওলো রাজ্যে মোট ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটে বন্যা ও ভূমিধসের মতো দুর্যোগে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫

প্রকাশিত সময় : ১১:৪০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে প্রবল বৃষ্টির পর বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ জনে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন চারশোর বেশি মানুষ। এখনো চলছে উদ্ধারকাজ। এ পর্যন্ত ২৪ জনকে উদ্ধার করার খবর মিলেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের গভর্নর ক্লদিও কাস্ত্রো।
রিও ডি জেনিরো রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১০৫ জন। পেট্রোপোলিস শহরের বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মাটি ধসে এখনো কতজন মানুষ আটকা পড়ে আছে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
শহরটির মেয়র রুবেনস বোমটেম্পো এটি একটি কঠিন সময় উল্লেখ করে জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ চলছে, কতজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫
 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫

ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫
ব্রাজিলে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১০৫

ভুক্তভোগীদের স্বজনরা গত মঙ্গলবার থেকে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু খোঁজ মিলছে না অনেকের। রিও ডি জেনিরোর পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, তারা ৩৫ জন নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পেট্রোপোলিস শহরে মাত্র তিন ঘণ্টায় ২৫ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার (১০ ইঞ্চির বেশি) বৃষ্টির পর থেকে এ দুর্যোগের শুরু। ওই এলাকায় আগের ৩০ দিন মিলিয়েও এত বৃষ্টি হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ভূমিধসে অনেক বাড়ি-গাড়ি ভেসে যেতে দেখা গেছে। পেট্রোপোলিস ও এর আশপাশের এলাকাগুলো বন্যায় থইথই। স্থানীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, বহু বাড়ি কাদামাটিতে তলিয়ে রয়েছে। সেখানে এখনো উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেননি।
রিও ডি জেনিরোর গভর্নর ক্লদিও কাস্ত্রো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে ১৯৩২ সালের পর থেকে পেট্রোপোলিসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে এবার। কাস্ত্রো আরও বলেন, পূর্বাভাসে বিষয়টি মোটেও ধারণা করা যায়নি যে এতো বৃষ্টি হবে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো এক টুইটে বলেছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত সহায়তা দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। হতাহতদের স্মরণে তিনদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যটিতে।
দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আরও বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হয় বছরের শুরুতেই। বিশেষ করে জানুয়ারির শুরুতে মিনাস গেরাইস রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। মাসের শেষের দিকে সাও পাওলো রাজ্যে মোট ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটে বন্যা ও ভূমিধসের মতো দুর্যোগে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান