মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চেরনোবিলের দখল নিল রাশিয়া

ইউক্রেনের চেরনোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখলে নিয়েছে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রক্ষা করার জন্য ইউক্রেনের জাতীয় রক্ষীদের সঙ্গে লড়াইয়ের পর রুশ বাহিনী এটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।এটি বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্ত এবং ইউক্রেনের রাজধানীর মধ্যে অবস্থিত।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এটি রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছিল, যাতে ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না হয়। তিনি এটিকে ‘পুরো ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে অভিহিত করেছেন। এদিকে, উপদেষ্টা পোদোলিয়াক বলেছেন, এখন এটা বলা অসম্ভব চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিরাপদ আছে কিনা।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্থন হেরাশেঙ্কো সতর্ক করেছেন যে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কোনো আক্রমণে ইউক্রেন, বেলারুশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া ইউক্রেনের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়াতে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

১৯৮৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যার ফলে ওই এলাকা জনমানবশূন্য হয়ে গিয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

চেরনোবিলের দখল নিল রাশিয়া

প্রকাশিত সময় : ১১:২২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ইউক্রেনের চেরনোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখলে নিয়েছে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রক্ষা করার জন্য ইউক্রেনের জাতীয় রক্ষীদের সঙ্গে লড়াইয়ের পর রুশ বাহিনী এটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।এটি বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্ত এবং ইউক্রেনের রাজধানীর মধ্যে অবস্থিত।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এটি রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছিল, যাতে ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না হয়। তিনি এটিকে ‘পুরো ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে অভিহিত করেছেন। এদিকে, উপদেষ্টা পোদোলিয়াক বলেছেন, এখন এটা বলা অসম্ভব চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিরাপদ আছে কিনা।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্থন হেরাশেঙ্কো সতর্ক করেছেন যে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কোনো আক্রমণে ইউক্রেন, বেলারুশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া ইউক্রেনের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়াতে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

১৯৮৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যার ফলে ওই এলাকা জনমানবশূন্য হয়ে গিয়েছিল।