মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন ছেড়ে পালাব না: জেলেনস্কি

শত্রুর ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাবেন না। বরং তার সৈন্যদের মনোবল বাড়াতে দেশেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেছেন।

ভিডিওতে জেলেনস্কিকে বলতে শোনা যায়, ‘রাশিয়ার এক নম্বর লক্ষ্য আমিই। দু’নম্বরে রয়েছে আমার পরিবার। রাশিয়া চায় আমাকে শেষ করে আমার দেশকে রাজনৈতিক ভাবে নিঃস্ব করে দিতে। কিন্তু আমি পালাব না। এখানেই থাকব। যেখানে আমার সেনারা প্রতি মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করছে।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিভেয় নিজের বাসভবনেই রয়েছেন ভলোদিমির।  এ দিকে শুক্রবার ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে গতিতে রাশিয়া এগোচ্ছে তাতে কিভেয় পৌঁছতেও খুব বেশি দিন সময় লাগার কথা নয়।
সে ক্ষেত্রে ভলোদিমিরের অনুমান সত্যি হলে খুব শিগগিরই প্রেসিডেন্টের ভবন ঘেরাও করতে পারে রাশিয়ার সেনা। তাদের বাধা দেওয়ার জন্য বিদেশি শক্তির সাহায্যও পাবে না ইউক্রেন। কারণ আমেরিকা এবং তার ন্যাটো বাহিনী জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি ইউক্রেনকে সাহায্য করবে না। শুধু অস্ত্র এবং অন্য সামগ্রী সরবরাহ করে সমর্থন করবে।
এই পরিস্থিতিতে ‘শত্রু দেশ’ রাশিয়া সত্যিই যদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবং তার পরিবারের উপর চড়াও হয়, তবে তার পরিণাম কী হতে চলেছে তা নিয়ে আশঙ্কিত ইউক্রেনের বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিপুল ভোটে জিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদাভিষিক্ত হন ভলোদেমির। তার আগে ইউক্রেনের টিভির জনপ্রিয়তম কৌতুকশিল্পী ছিলেন তিনি।
শোনা যায়, ভলোদেমিরই ইউক্রেনের প্রথম প্রসিডেন্ট যিনি বলেছিলেন, প্রকাশ্যে তার ছবি টাঙানোর প্রয়োজন নেই।
ভলোদেমিরের সমর্থকরা বলছেন, যুদ্ধের সময় পালিয়ে না গিয়েও দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। কেন না এর আগে সেনা অভ্যূত্থান এবং গৃহযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের প্রধানদের অনেককেই প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে।
ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি যেখানে আছেন, সেখানেই থাকবেন। রাশিয়ার সেনা হামলায় ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের শত শত সেনা এবং সাধারণ মানুষ মারা পড়েছেন। তবে তিনি জানেন, ইউক্রেন যত আক্রান্ত হবে ততই রাশিয়া এবং বাকি দুনিয়ার মাঝামাঝি একটি অভেদ্য লৌহ কপাট নেমে আসবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইউক্রেন ছেড়ে পালাব না: জেলেনস্কি

প্রকাশিত সময় : ০৪:০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

শত্রুর ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাবেন না। বরং তার সৈন্যদের মনোবল বাড়াতে দেশেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেছেন।

ভিডিওতে জেলেনস্কিকে বলতে শোনা যায়, ‘রাশিয়ার এক নম্বর লক্ষ্য আমিই। দু’নম্বরে রয়েছে আমার পরিবার। রাশিয়া চায় আমাকে শেষ করে আমার দেশকে রাজনৈতিক ভাবে নিঃস্ব করে দিতে। কিন্তু আমি পালাব না। এখানেই থাকব। যেখানে আমার সেনারা প্রতি মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করছে।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিভেয় নিজের বাসভবনেই রয়েছেন ভলোদিমির।  এ দিকে শুক্রবার ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে গতিতে রাশিয়া এগোচ্ছে তাতে কিভেয় পৌঁছতেও খুব বেশি দিন সময় লাগার কথা নয়।
সে ক্ষেত্রে ভলোদিমিরের অনুমান সত্যি হলে খুব শিগগিরই প্রেসিডেন্টের ভবন ঘেরাও করতে পারে রাশিয়ার সেনা। তাদের বাধা দেওয়ার জন্য বিদেশি শক্তির সাহায্যও পাবে না ইউক্রেন। কারণ আমেরিকা এবং তার ন্যাটো বাহিনী জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি ইউক্রেনকে সাহায্য করবে না। শুধু অস্ত্র এবং অন্য সামগ্রী সরবরাহ করে সমর্থন করবে।
এই পরিস্থিতিতে ‘শত্রু দেশ’ রাশিয়া সত্যিই যদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবং তার পরিবারের উপর চড়াও হয়, তবে তার পরিণাম কী হতে চলেছে তা নিয়ে আশঙ্কিত ইউক্রেনের বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিপুল ভোটে জিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদাভিষিক্ত হন ভলোদেমির। তার আগে ইউক্রেনের টিভির জনপ্রিয়তম কৌতুকশিল্পী ছিলেন তিনি।
শোনা যায়, ভলোদেমিরই ইউক্রেনের প্রথম প্রসিডেন্ট যিনি বলেছিলেন, প্রকাশ্যে তার ছবি টাঙানোর প্রয়োজন নেই।
ভলোদেমিরের সমর্থকরা বলছেন, যুদ্ধের সময় পালিয়ে না গিয়েও দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। কেন না এর আগে সেনা অভ্যূত্থান এবং গৃহযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের প্রধানদের অনেককেই প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে।
ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি যেখানে আছেন, সেখানেই থাকবেন। রাশিয়ার সেনা হামলায় ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের শত শত সেনা এবং সাধারণ মানুষ মারা পড়েছেন। তবে তিনি জানেন, ইউক্রেন যত আক্রান্ত হবে ততই রাশিয়া এবং বাকি দুনিয়ার মাঝামাঝি একটি অভেদ্য লৌহ কপাট নেমে আসবে।