করোনাভাইরাসের দাপটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ হাজার ৩৪৭ জন। এ সময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ২৯০ জন। মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ কোটি ৬৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৬৬ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ লাখ ৭৪ হাজার ৬২২ জনের।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৯২০ জন। জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৩৯৬ জন এবং মারা গেছেন ১১৮ জন। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩ জন এবং মারা গেছেন ৬২৯ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫১৬ জন। ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৫ জন।
তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ২৭৫ জন এবং মারা গেছেন ২১৩ জন। ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৮১ জন এবং মারা গেছেন ২০৭ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২৬২ জন। ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ২৩২ জন। কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮২ জন এবং মারা গেছেন ৭৪ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চিলিতে ১৫৩ জন, আর্জেন্টিনায় ৩২ জন, ইরানে ২০৭ জন, জাপানে ১৭৬ জন, রোমানিয়ায় ৫৭ জন, ফিলিপাইনে ৫০ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৮৩ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ১১৪ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৭২ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৬ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 
























