মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুতিনকে মানবিক আইন লঙ্ঘন করতে দেওয়া ঠিক হবে না: ব্লিংকেন

ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পূর্বপরিকল্পিত আগ্রাসনের অপরাধ মাফ করে দেওয়া হলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক আদেশ দুর্বল হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের কাছে একটি ভিডিও ভাষণে, ব্লিংকেন সতর্ক করে দেন যে পুতিন যদি একটি দেশের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটাতে সফল হন তবে ইউক্রেনের মানবাধিকার এবং মানবিক সংকটে এর প্রভাব হবে আরও খারাপ।

ব্লিংকেন বলেন, “ক্রিমিয়ার দিকে তাকান, যেখানে রাশিয়ার দখলে বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে আটক, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন, ভিন্নমতাবলম্বীদের নৃশংস দমন চলছে। রাশিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন প্রতি ঘন্টায় বাড়ছে।” ব্লিংকেন বলেছেন, “ছয় দিন আগে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে, বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে রুশ হামলা বেড়েছে। তিনি বলেন, স্কুল, হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিশুদ্ধ পানি, ঠাণ্ডা ঠেকাতে গ্যাস, বাতি জ্বালানোর জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।”

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা প্রস্তুত রয়েছে যে ইউক্রেনের ৪০ লক্ষ লোক নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালাতে পারে । ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তারা বলছেন যে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি ইউরোপের এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটে পরিণত হতে চলেছে।

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পুতিনকে মানবিক আইন লঙ্ঘন করতে দেওয়া ঠিক হবে না: ব্লিংকেন

প্রকাশিত সময় : ১০:১৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পূর্বপরিকল্পিত আগ্রাসনের অপরাধ মাফ করে দেওয়া হলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক আদেশ দুর্বল হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের কাছে একটি ভিডিও ভাষণে, ব্লিংকেন সতর্ক করে দেন যে পুতিন যদি একটি দেশের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটাতে সফল হন তবে ইউক্রেনের মানবাধিকার এবং মানবিক সংকটে এর প্রভাব হবে আরও খারাপ।

ব্লিংকেন বলেন, “ক্রিমিয়ার দিকে তাকান, যেখানে রাশিয়ার দখলে বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে আটক, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন, ভিন্নমতাবলম্বীদের নৃশংস দমন চলছে। রাশিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন প্রতি ঘন্টায় বাড়ছে।” ব্লিংকেন বলেছেন, “ছয় দিন আগে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে, বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে রুশ হামলা বেড়েছে। তিনি বলেন, স্কুল, হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিশুদ্ধ পানি, ঠাণ্ডা ঠেকাতে গ্যাস, বাতি জ্বালানোর জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।”

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা প্রস্তুত রয়েছে যে ইউক্রেনের ৪০ লক্ষ লোক নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালাতে পারে । ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তারা বলছেন যে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি ইউরোপের এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটে পরিণত হতে চলেছে।

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা