বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিক্ষোভে লাঠিচার্জ, গণঅধিকারের নিন্দা

ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকালে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত একটি মিছিল পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান নেতাকর্মীরা।

এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে প্রেস ক্লাব, পল্টন হয়ে গুলিস্তান এবং গুলিস্তান থেকে নয়া পল্টনের দিকে বিক্ষোভ করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।

পুলিশের হামলায় ৫০ জন আহত এবং ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছেন সংগঠনটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। একই সঙ্গে এ হামলার নিন্দা এবং আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কিন্তু পুলিশ ও সরকারের পেটোয়া বাহিনী শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ জুমার নামাজের পরপরই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং শহীদ মিনারের আশপাশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়।

তিনি বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল শুরু করি। মিছিলটি শাহবাগে গেলে পেছন দিক থেকে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। ১০ জনকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে যায়। আমরা এসব ফ্যাসিবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, সমাবেশ করতে না দিয়ে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অধিকার হরণ করা আওয়ামী লীগের দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ। আমরা চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানাই, আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি চাই। অন্যথায় এ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিক্ষোভে লাঠিচার্জ, গণঅধিকারের নিন্দা

প্রকাশিত সময় : ১০:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২

ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকালে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত একটি মিছিল পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান নেতাকর্মীরা।

এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে প্রেস ক্লাব, পল্টন হয়ে গুলিস্তান এবং গুলিস্তান থেকে নয়া পল্টনের দিকে বিক্ষোভ করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।

পুলিশের হামলায় ৫০ জন আহত এবং ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছেন সংগঠনটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। একই সঙ্গে এ হামলার নিন্দা এবং আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কিন্তু পুলিশ ও সরকারের পেটোয়া বাহিনী শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ জুমার নামাজের পরপরই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং শহীদ মিনারের আশপাশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়।

তিনি বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল শুরু করি। মিছিলটি শাহবাগে গেলে পেছন দিক থেকে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। ১০ জনকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে যায়। আমরা এসব ফ্যাসিবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, সমাবেশ করতে না দিয়ে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অধিকার হরণ করা আওয়ামী লীগের দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ। আমরা চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানাই, আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি চাই। অন্যথায় এ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করা হবে।