বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলো রাশিয়া

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ বন্ধ করেছে। যাতে আটকে পড়া বাসিন্দারা ডোনেটস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) ঘেরা বন্দর শহর মারিউপোল ও ভলনোভাখা ছেড়ে যেতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে শহরগুলো ইউক্রেন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিলো। বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক করিডোর খোলার জন্য এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।তবে রাশিয়া জানিয়েছে, এটা সাময়িক যুদ্ধবিরতি।  সূত্র : রাশিয়ার মিডিয়া আউটলেট স্পুটনিক

 

আজ শনিবার (৫ মার্চ, মস্কোর সময় সকাল ১০টা, বাংলাদেশ সময় দুপুর একটা) রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধ বন্ধ করে নীরবতা পালন করে এবং মারিউপোল ও ভলনোভাখা থেকে বেসামরিক লোকদের প্রস্থানের জন্য মানবিক করিডোর খুলে দেয়। যাতে নিরাপদে তাঁরা ইউক্রেন ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। এতে ইউক্রেন সরকারও সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মস্কো বলেছে, ইউক্রেনের সাথে নিরাপদ সমাধানের বিষয়ে তারা একমত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলারুশে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনার জন্য রুশ ও ইউক্রেনীয়রা মিলিত হয়েছিলো। ইউক্রেনের আলোচনা দলের সদস্য মিখাইল পোডোলিয়াক এর আগে নিশ্চিত করেছেন, বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই পক্ষ সাময়িকভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কথা বলেছে। উক্ত দুই শহরের বাসিন্দাদের সরে যেতে দেওয়ার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি। এর ফলে বন্দর শহর মারিউপোল সহ দুটি অবরুদ্ধ শহরের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া।  রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিগত ১০ দিন ধরে ইউক্রেনে চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এতে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশই মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, রাশিয়ার পক্ষেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধ থামাতে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু সমাধান মেলেনি। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়ার বিরোধী ছিলো রাশিয়া। ন্যাটো এবং আমেরিকার সামরিক কাজকর্মেও তীব্র আপত্তি ছিলো তাদের। ইউক্রেনও মাথা নোয়াতে নারাজ। তবে এই যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে কি না এবং হলেও তা কবে হবে তা এখনও অনিশ্চিত। মূলত মানুষের দুর্ভেোগ কমাতেই আপাতত যুদ্ধবিরতির এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকগণের একাংশ মনে করছেন, বেলারুশে যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার সুফল মিলল হয়ত এবার। তৃতীয় দফায় আবারও বৈঠকে বসতে চলেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলো রাশিয়া

প্রকাশিত সময় : ০৪:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ বন্ধ করেছে। যাতে আটকে পড়া বাসিন্দারা ডোনেটস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) ঘেরা বন্দর শহর মারিউপোল ও ভলনোভাখা ছেড়ে যেতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে শহরগুলো ইউক্রেন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিলো। বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক করিডোর খোলার জন্য এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।তবে রাশিয়া জানিয়েছে, এটা সাময়িক যুদ্ধবিরতি।  সূত্র : রাশিয়ার মিডিয়া আউটলেট স্পুটনিক

 

আজ শনিবার (৫ মার্চ, মস্কোর সময় সকাল ১০টা, বাংলাদেশ সময় দুপুর একটা) রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধ বন্ধ করে নীরবতা পালন করে এবং মারিউপোল ও ভলনোভাখা থেকে বেসামরিক লোকদের প্রস্থানের জন্য মানবিক করিডোর খুলে দেয়। যাতে নিরাপদে তাঁরা ইউক্রেন ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। এতে ইউক্রেন সরকারও সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মস্কো বলেছে, ইউক্রেনের সাথে নিরাপদ সমাধানের বিষয়ে তারা একমত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলারুশে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনার জন্য রুশ ও ইউক্রেনীয়রা মিলিত হয়েছিলো। ইউক্রেনের আলোচনা দলের সদস্য মিখাইল পোডোলিয়াক এর আগে নিশ্চিত করেছেন, বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই পক্ষ সাময়িকভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কথা বলেছে। উক্ত দুই শহরের বাসিন্দাদের সরে যেতে দেওয়ার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি। এর ফলে বন্দর শহর মারিউপোল সহ দুটি অবরুদ্ধ শহরের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া।  রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিগত ১০ দিন ধরে ইউক্রেনে চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এতে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশই মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, রাশিয়ার পক্ষেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধ থামাতে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু সমাধান মেলেনি। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়ার বিরোধী ছিলো রাশিয়া। ন্যাটো এবং আমেরিকার সামরিক কাজকর্মেও তীব্র আপত্তি ছিলো তাদের। ইউক্রেনও মাথা নোয়াতে নারাজ। তবে এই যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে কি না এবং হলেও তা কবে হবে তা এখনও অনিশ্চিত। মূলত মানুষের দুর্ভেোগ কমাতেই আপাতত যুদ্ধবিরতির এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকগণের একাংশ মনে করছেন, বেলারুশে যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার সুফল মিলল হয়ত এবার। তৃতীয় দফায় আবারও বৈঠকে বসতে চলেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।