মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চেরনোবিল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর শঙ্কা ইউক্রেনের

রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনের চেরনোবিল নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। বুধবার (৯ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউক্লিয়ার কোম্পানি এনার্জোএটমের বরাতে জানায়, ব্যবহৃত নিউক্লিয়ার জ্বালানী শীতলীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় তারা এই আশঙ্কা প্রকাশ করছে।

এনার্জোএটম জানায়, ক্রেমলিন পুরোদমে হামলা শুরু করার পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখল করে নেয়। হামলায় এর সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যুদ্ধের কারণে তারা তা পুনঃনির্মাণ করতে পারছে না।

নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে প্রায় ২০ হাজার ব্যবহৃত জ্বালানি সন্নিবেশিত ছিল যা বিদ্যৎ সংকটের কারণে শীতল রাখা অসম্ভব বলে জানায় এনার্জোএটম।

এনার্জোএটমের আশঙ্কা, এগুলো উত্তপ্ত হয়ে পড়লে পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তেজস্ক্রিয় মেঘ বাতাসে ভেসে ইউক্রেনের অন্যান্য অংশসহ বেলারুশ, রাশিয়া ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আর বিদ্যুতের অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাও ঠিকঠাক কাজ করবে না, যার ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীরা উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসতে পারে।

এদিকে, মঙ্গলবার (৮ মার্চ) জাতিসংঘের নিউক্লিয়ার পর্যবেক্ষক ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) জানায়, তারা আর চেরনোবিলের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংরক্ষনাগার থেকে কোনো উপাত্ত পাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় চেরনোবিলের চতুর্থ নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর বিস্ফোরিত হয়। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিউক্লিয়ার বিপর্যয় হিসেবে বিবেচিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

চেরনোবিল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর শঙ্কা ইউক্রেনের

প্রকাশিত সময় : ১০:০৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২

রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনের চেরনোবিল নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। বুধবার (৯ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউক্লিয়ার কোম্পানি এনার্জোএটমের বরাতে জানায়, ব্যবহৃত নিউক্লিয়ার জ্বালানী শীতলীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় তারা এই আশঙ্কা প্রকাশ করছে।

এনার্জোএটম জানায়, ক্রেমলিন পুরোদমে হামলা শুরু করার পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখল করে নেয়। হামলায় এর সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যুদ্ধের কারণে তারা তা পুনঃনির্মাণ করতে পারছে না।

নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে প্রায় ২০ হাজার ব্যবহৃত জ্বালানি সন্নিবেশিত ছিল যা বিদ্যৎ সংকটের কারণে শীতল রাখা অসম্ভব বলে জানায় এনার্জোএটম।

এনার্জোএটমের আশঙ্কা, এগুলো উত্তপ্ত হয়ে পড়লে পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তেজস্ক্রিয় মেঘ বাতাসে ভেসে ইউক্রেনের অন্যান্য অংশসহ বেলারুশ, রাশিয়া ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আর বিদ্যুতের অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাও ঠিকঠাক কাজ করবে না, যার ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীরা উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসতে পারে।

এদিকে, মঙ্গলবার (৮ মার্চ) জাতিসংঘের নিউক্লিয়ার পর্যবেক্ষক ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) জানায়, তারা আর চেরনোবিলের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংরক্ষনাগার থেকে কোনো উপাত্ত পাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় চেরনোবিলের চতুর্থ নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর বিস্ফোরিত হয়। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিউক্লিয়ার বিপর্যয় হিসেবে বিবেচিত।