শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবিতে পৃথক দুই ঘটনায় তদন্ত কমিটি

অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৃথক দুই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১২তম সিন্ডিকেট সভায় এসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক একরামুল ইসলাম।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগে একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তদন্ত করার জন্য উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কবিরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে অন্য দু’জন সদস্য হলেন প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বাদল এবং আইন বিভাগের আ ন ম ওয়াহিদ।

এবিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক একরামুল ইসলাম জানান, ফিশারীজ বিভাগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসাইনের ফেসবুক স্টোরিতে বিভাগে চলমান চূড়ান্ত পরীক্ষার একটি কোর্সের (এফএমএমসি-৬৪১) প্রশ্নপত্র ছাড়া হয়। পরবর্তীতে সেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর কয়দিন পরেই গত ১৮ ডিসেম্বর ড. ইয়ামিন হোসেন সাজেশনের নামে চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বেই একটি কোর্সের প্রশ্নপত্র অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীর কাছে শেয়ার করার অভিযোগ উঠে। যা পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সাথে হুবহু মিলে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজের গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো নম্বর পাইয়ে দেবার অভিযোগ তুলেন লিখিত অভিযোগপত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন দেন একই বিভাগের শিক্ষক ও অনুষদ অধিকর্তা অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসাইন।

আবার শিক্ষার্থীকে পক্ষপাতমূলকভাবে কম নম্বর দেয়া, মানসিকভাবে নির্যাতন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেমকে আহ্বায়ক করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে ও ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য একরামুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে পক্ষপাতমূলক কম নম্বর দেয়া, মানসিকভাবে নির্যাতন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগওে প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তদন্ত কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

রাবিতে পৃথক দুই ঘটনায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত সময় : ০৮:৩২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২

অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৃথক দুই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১২তম সিন্ডিকেট সভায় এসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক একরামুল ইসলাম।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগে একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তদন্ত করার জন্য উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কবিরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে অন্য দু’জন সদস্য হলেন প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বাদল এবং আইন বিভাগের আ ন ম ওয়াহিদ।

এবিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক একরামুল ইসলাম জানান, ফিশারীজ বিভাগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসাইনের ফেসবুক স্টোরিতে বিভাগে চলমান চূড়ান্ত পরীক্ষার একটি কোর্সের (এফএমএমসি-৬৪১) প্রশ্নপত্র ছাড়া হয়। পরবর্তীতে সেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর কয়দিন পরেই গত ১৮ ডিসেম্বর ড. ইয়ামিন হোসেন সাজেশনের নামে চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বেই একটি কোর্সের প্রশ্নপত্র অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীর কাছে শেয়ার করার অভিযোগ উঠে। যা পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সাথে হুবহু মিলে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজের গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো নম্বর পাইয়ে দেবার অভিযোগ তুলেন লিখিত অভিযোগপত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন দেন একই বিভাগের শিক্ষক ও অনুষদ অধিকর্তা অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসাইন।

আবার শিক্ষার্থীকে পক্ষপাতমূলকভাবে কম নম্বর দেয়া, মানসিকভাবে নির্যাতন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেমকে আহ্বায়ক করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে ও ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য একরামুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে পক্ষপাতমূলক কম নম্বর দেয়া, মানসিকভাবে নির্যাতন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগওে প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তদন্ত কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।