রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দুটি জমজ শব্দ। জমজ শব্দের সঙ্গে জন্মের একটি বিষয় থাকে। সম্ভবত কোনো একটি অদৃষ্টের বন্ধনে ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্মলিপি লেখা হয়ে গেছে। এটা আমার একান্তই নিজস্ব ধারণা। এই ধারণার আভাস পেয়েছি আহমদ ছফা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে বইগুলো লিখে ছিলেন সেখান থেকে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
ভিসি আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু একটি আরেকটির পরিপূরক শব্দ। এ দুইটি মিলে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক উজ্জ্বল প্রজ্বল অচিন্তিত কালান্তরের সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুকে মনে করা হতো ভবিষ্যৎ জাতি রাষ্ট্রের প্রবক্তা।
রাবি প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি প্রো-ভিসি অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের সঞ্চলনায় সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম।
এছাড়াও দিনব্যাপী নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিন সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এসময় প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, জনসংযোগ দফরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
পরে সকাল ৮টায় সাবাস বাংলাদেশ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। সকাল ৮টা ৪৫মিনিটে শেখ রাসেল মডেল স্কুল ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে শিশু সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘মুজিববর্ষ গ্রন্থ উৎসব-২০২২’ উদ্বোধন করেন ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এছাড়াও বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল, বিকেল ৪টায় শহীদ হবিবুর রহমান হলে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন, বিকেল সাড়ে ৪টায় রাবি জিমনেশিয়ামে শিশুদের খেলাধুলা, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা আয়োজন করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
























