রাশিয়ার প্রতি ভয় থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর ইউক্রেনকে সমর্থন করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এদিকে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলছেন, কেউই যুদ্ধ চায় না, তবুও পারমানবিক সংঘাতের হুমকি বিদ্যমান। অন্যদিকে সৈন্য প্রত্যাহার করলেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেন রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে সহায়তার জন্য আবারও পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানালেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এরইমধ্যে ইউক্রেনে অ্যান্টি-আরমার এবং অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ছোট অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ।
তবে জেলেনস্কি বলেন, এই মুহূর্তে কিয়েভের দরকার ট্যাংক যুদ্ধবিমান ও অ্যান্টি-শিপ সিস্টেম।
তিনি বলেন, ‘ন্যাটোর মাত্র ১% বিমান এবং ১% ট্যাংক প্রয়োজন ইউক্রেনের। আর কিছু তো চাইনি আমরা। আর চাইও না। আমরা ইতিমধ্যে ৩১ দিন অপেক্ষা করেছি। আর কত? মস্কো কি সত্যিই এই অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছে? তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন দেখে তো তাই মনে হচ্ছে।
সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ জানিয়েছেন, সর্বদাই পারমাণবিক সংঘাতের হুমকি বিদ্যমান থাকে। যখন কেউ যুদ্ধ চায়না তখনও থাকে হুমকি। তাই এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন একটি দায়িত্বশীল নীতি বাস্তবায়ন করা।
চলমান পরিস্থিতিতে রুশ ধনকুবের, ব্যাঙ্ক ও বাণিজ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একটি উপায় বলে দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস। ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার হলেই রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, চলমান যুদ্ধে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সমর্থনে শনিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বিক্ষোভ করেছে শহরটির শত শত নাগরিক। একই দিনে রাশিয়ার প্রাগ শহরেও ইউক্রেনের সমর্থনে আন্দলোন করেছে হাজারো বিক্ষোভকারী।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 
























