বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেভাবে সঠিক পারফিউম বাছাই করবেন!

প্রাচীন আতর থেকে হাল ফ্যাশনের বডি স্প্রে বা পারফিউমের দিন দিন সুগন্ধির কদর বাড়ছে। কম বেশি সবাই পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকেন। এক একজনের এক এক রকম গন্ধ পছন্দ। কেউ ভালোবাসেন মিস্ট, কেউ কোলন।বাজারে নানারকম সুগন্ধী পাওয়া যায়। পারফিউম, কোলন, ওডি পারফিউম, আরও কত কী! সে সব কিনতে গিয়ে একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই।

কোনটা ছেড়ে কোনটা কেনা যায় তা বাছতে গিয়েই হিমশিম অবস্থা। পারফিউমের তফাত হয় সুগন্ধীর মাধ্যমে। কতটা এসেন্স বা সুগন্ধী রয়েছে সেই অনুযায়ী আলাদা নাম হয়। দামও বদলে যায়। নিখুঁত পারফিউম বাছাইয়ের কিছু কৌশল আছে। তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

প্রতিটা পারফিউমের বিভিন্ন নোট থাকে। তা দিয়েই সুগন্ধ তৈরি হয়। এই নোটগুলো তিন রকমের। বেস, টপ বা হেড এবং মিডল বা হার্ট নোট নামে পরিচিত। ভালো গন্ধ তৈরি করতে এই তিন রকমের নোট একসঙ্গে কাজ করে।

কিছু পারফিউমে গোলাপ, গার্ডেনিয়া বা জেরানিয়ামের মতো সুগন্ধযুক্ত নোট থাকে। কিছু পারফিউমে আবার সাইট্রাস বা আপেলের মতো সুগন্ধ থাকে। কিছু দামি পারফিউম আছে যার খুব হালকা গন্ধ। কোনওটা দারুচিনির মতো কোনওটা আবার স্টার অ্যানিসের সুগন্ধযুক্ত।

পারফিউমে এসেন্সের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি। সুগন্ধির নির্যাস আরও খোলতাই হয় অ্যালকোহল আর তেলের গুণে। কোনও সুগন্ধিতে এসেন্সের পরিমাণের চেয়ে অ্যালকোহল কিংবা তেল বেশি হলে, তার দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়। সেই অনুযায়ী পারফিউমের পরের ধাপে একে একে ও ডি পারফিউম, ও ডি টয়লেট এবং ও ডি কোলন আসে।

তফাত আছে সুগন্ধি লাগানোর সময়ও। সকালের দিকে রোদের মধ্যে বেরোলে পারফিউম একেবারেই চলবে না। তখন বরং কোলন বেশ আরামদায়ক। একটা রিফ্রেশমেন্ট দেবে।

আবার রাতের অনুষ্ঠানের জন্য পারফিউম বেশ ভাল। ত্বক অনুযায়ী গন্ধ বাছাই করা উচিত। যে গন্ধটা বন্ধু বা বান্ধবীকে মানিয়েছে, সেটা যে অন্য কারও ক্ষেত্রেও মানাবে এমন নয় কিন্তু। আসলে সেনসিটিভিটি অনুযায়ী এই তফাতটা হয়। যাদের বেশি ঘাম হয়, তাদের জন্য স্যুটেবল পারফিউম অন্যদের চেয়ে আলাদা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে সঠিক পারফিউম বাছাই করবেন!

প্রকাশিত সময় : ০২:৫০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

প্রাচীন আতর থেকে হাল ফ্যাশনের বডি স্প্রে বা পারফিউমের দিন দিন সুগন্ধির কদর বাড়ছে। কম বেশি সবাই পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকেন। এক একজনের এক এক রকম গন্ধ পছন্দ। কেউ ভালোবাসেন মিস্ট, কেউ কোলন।বাজারে নানারকম সুগন্ধী পাওয়া যায়। পারফিউম, কোলন, ওডি পারফিউম, আরও কত কী! সে সব কিনতে গিয়ে একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই।

কোনটা ছেড়ে কোনটা কেনা যায় তা বাছতে গিয়েই হিমশিম অবস্থা। পারফিউমের তফাত হয় সুগন্ধীর মাধ্যমে। কতটা এসেন্স বা সুগন্ধী রয়েছে সেই অনুযায়ী আলাদা নাম হয়। দামও বদলে যায়। নিখুঁত পারফিউম বাছাইয়ের কিছু কৌশল আছে। তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

প্রতিটা পারফিউমের বিভিন্ন নোট থাকে। তা দিয়েই সুগন্ধ তৈরি হয়। এই নোটগুলো তিন রকমের। বেস, টপ বা হেড এবং মিডল বা হার্ট নোট নামে পরিচিত। ভালো গন্ধ তৈরি করতে এই তিন রকমের নোট একসঙ্গে কাজ করে।

কিছু পারফিউমে গোলাপ, গার্ডেনিয়া বা জেরানিয়ামের মতো সুগন্ধযুক্ত নোট থাকে। কিছু পারফিউমে আবার সাইট্রাস বা আপেলের মতো সুগন্ধ থাকে। কিছু দামি পারফিউম আছে যার খুব হালকা গন্ধ। কোনওটা দারুচিনির মতো কোনওটা আবার স্টার অ্যানিসের সুগন্ধযুক্ত।

পারফিউমে এসেন্সের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি। সুগন্ধির নির্যাস আরও খোলতাই হয় অ্যালকোহল আর তেলের গুণে। কোনও সুগন্ধিতে এসেন্সের পরিমাণের চেয়ে অ্যালকোহল কিংবা তেল বেশি হলে, তার দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়। সেই অনুযায়ী পারফিউমের পরের ধাপে একে একে ও ডি পারফিউম, ও ডি টয়লেট এবং ও ডি কোলন আসে।

তফাত আছে সুগন্ধি লাগানোর সময়ও। সকালের দিকে রোদের মধ্যে বেরোলে পারফিউম একেবারেই চলবে না। তখন বরং কোলন বেশ আরামদায়ক। একটা রিফ্রেশমেন্ট দেবে।

আবার রাতের অনুষ্ঠানের জন্য পারফিউম বেশ ভাল। ত্বক অনুযায়ী গন্ধ বাছাই করা উচিত। যে গন্ধটা বন্ধু বা বান্ধবীকে মানিয়েছে, সেটা যে অন্য কারও ক্ষেত্রেও মানাবে এমন নয় কিন্তু। আসলে সেনসিটিভিটি অনুযায়ী এই তফাতটা হয়। যাদের বেশি ঘাম হয়, তাদের জন্য স্যুটেবল পারফিউম অন্যদের চেয়ে আলাদা।