শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেডিকেলের ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি চক্রের দুই সদস্য আটক

দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি আরো বলেন, মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি চক্রের দুই সদস্যকে ইতোমধ্যে আটক করেছে পুলিশ।    তিনি বলেছেন, আমরা মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা খুবই সতর্কতার সঙ্গে নিই। এখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের করে থাকি। যেসব গাড়িটি প্রশ্ন নিয়ে যায় সে গাড়িগুলোকে আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করি। ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) কার্যালয়ে বসে আমরা দেখতে পারি কোথায় গাড়ি যাচ্ছে, থামছে বা কখন রওনা দিচ্ছে। যে বাক্সে করে প্রশ্ন নেওয়া হয় সেটা খুললেও বোঝা যায়- খোলা হচ্ছে নাকি বন্ধ করা হচ্ছে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের সতর্কতা নিয়েছি। এখানে পুলিশ, র‍্যাব দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপও মনিটরিং করছি। এরইমধ্যে দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। যারা ভুয়া প্রশ্নপত্র পেয়ে ‘প্রশ্ন পেয়েছি’ বলেছে, তারা মূলত টাকার মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করতে চেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি কোনো অঘটন ঘটবে না। আমরা সতর্ক আছি। তিনি বলেন, আমি দু-একটা হলে গিয়েছি, পরীক্ষা সুন্দরভাবে শুরু হয়েছে। সারাদেশে পরীক্ষা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা শুনিনি। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথাও বললাম। তারা জানিয়েছে, প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে। আশাকরি, সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে পরীক্ষা শেষ হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বেসরকারি ৭২টি এবং সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ আছে। সরকারি-বেসরকারি মিলে মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ১০ হাজার ৮৩৯টি। এরইমধ্যে এসব আসনের বিপরীতে শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। এজন্য মোট কেন্দ্র আছে ১৯টি। ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী এবার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি। সারাদেশে মোট ভেন্যু ৫৭টি, মোট হলের সংখ্যা এক হাজার ৭৯২টি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একে এম আহসান হাবিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ এইচএম এনায়েত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মমতাজউদ্দিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মেডিকেলের ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি চক্রের দুই সদস্য আটক

প্রকাশিত সময় : ০৫:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২

দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি আরো বলেন, মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি চক্রের দুই সদস্যকে ইতোমধ্যে আটক করেছে পুলিশ।    তিনি বলেছেন, আমরা মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা খুবই সতর্কতার সঙ্গে নিই। এখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের করে থাকি। যেসব গাড়িটি প্রশ্ন নিয়ে যায় সে গাড়িগুলোকে আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করি। ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) কার্যালয়ে বসে আমরা দেখতে পারি কোথায় গাড়ি যাচ্ছে, থামছে বা কখন রওনা দিচ্ছে। যে বাক্সে করে প্রশ্ন নেওয়া হয় সেটা খুললেও বোঝা যায়- খোলা হচ্ছে নাকি বন্ধ করা হচ্ছে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের সতর্কতা নিয়েছি। এখানে পুলিশ, র‍্যাব দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপও মনিটরিং করছি। এরইমধ্যে দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। যারা ভুয়া প্রশ্নপত্র পেয়ে ‘প্রশ্ন পেয়েছি’ বলেছে, তারা মূলত টাকার মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করতে চেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি কোনো অঘটন ঘটবে না। আমরা সতর্ক আছি। তিনি বলেন, আমি দু-একটা হলে গিয়েছি, পরীক্ষা সুন্দরভাবে শুরু হয়েছে। সারাদেশে পরীক্ষা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা শুনিনি। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথাও বললাম। তারা জানিয়েছে, প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে। আশাকরি, সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে পরীক্ষা শেষ হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বেসরকারি ৭২টি এবং সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ আছে। সরকারি-বেসরকারি মিলে মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ১০ হাজার ৮৩৯টি। এরইমধ্যে এসব আসনের বিপরীতে শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। এজন্য মোট কেন্দ্র আছে ১৯টি। ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী এবার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি। সারাদেশে মোট ভেন্যু ৫৭টি, মোট হলের সংখ্যা এক হাজার ৭৯২টি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একে এম আহসান হাবিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ এইচএম এনায়েত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মমতাজউদ্দিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।