শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মোংলা

কয়েক মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই মোংলায়। তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপজেলাবাসী। প্রতিদিন গড়ে ৩৮ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে এখানে। তাপদাহ আর তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে মোংলার রাস্তাঘাটে লোকজনও অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। তাই বন্দর ও পৌর শহরের দোকানপাট ও রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। 

সূর্যের প্রখর তাপে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা ছুটছে বিভিন্ন শরবত ও পানীয়ের দোকানে। কোথাও কোথাও পুকুরে নেমে পড়ছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। 

এদিকে, শহরের মাদ্রাসা রোড ও রিজেকশন গলির খেটে খাওয়া দিনমজুরদেরও কাজে দেখা যাচ্ছেনা।

শ্রমিক আব্দুল কাউয়ূম, এনায়েত হোসেন ও খলিলুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড গরমে কাজের পরিবেশ নাই, দিন খেটে খাই। গরমে বসে থেকে জীবিকা চলেনা, কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা। 

মানুষের পাশাপাশি তাপদাহের প্রভাব পড়েছে প্রাণীকূলের উপরও। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়ি শিল্প। 

এ বিষয়ে উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে এসব চিংড়ি অক্সিজেন ফেল করে মরে ভেসে উঠছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পুকুর ও মাছের ঘেরে গাছের ডাল পুঁতে রাখতে হবে। যাতে করে অক্সিজেন তৈরি হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, এ গরমে পানি স্বল্পতাসহ হীট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপপ্রবাহে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোজাদারদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাহির বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মোংলা

প্রকাশিত সময় : ০৪:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

কয়েক মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই মোংলায়। তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপজেলাবাসী। প্রতিদিন গড়ে ৩৮ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে এখানে। তাপদাহ আর তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে মোংলার রাস্তাঘাটে লোকজনও অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। তাই বন্দর ও পৌর শহরের দোকানপাট ও রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। 

সূর্যের প্রখর তাপে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা ছুটছে বিভিন্ন শরবত ও পানীয়ের দোকানে। কোথাও কোথাও পুকুরে নেমে পড়ছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। 

এদিকে, শহরের মাদ্রাসা রোড ও রিজেকশন গলির খেটে খাওয়া দিনমজুরদেরও কাজে দেখা যাচ্ছেনা।

শ্রমিক আব্দুল কাউয়ূম, এনায়েত হোসেন ও খলিলুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড গরমে কাজের পরিবেশ নাই, দিন খেটে খাই। গরমে বসে থেকে জীবিকা চলেনা, কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা। 

মানুষের পাশাপাশি তাপদাহের প্রভাব পড়েছে প্রাণীকূলের উপরও। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়ি শিল্প। 

এ বিষয়ে উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে এসব চিংড়ি অক্সিজেন ফেল করে মরে ভেসে উঠছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পুকুর ও মাছের ঘেরে গাছের ডাল পুঁতে রাখতে হবে। যাতে করে অক্সিজেন তৈরি হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, এ গরমে পানি স্বল্পতাসহ হীট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপপ্রবাহে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোজাদারদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাহির বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।