শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশিদের কাছে না গিয়ে আসুন সমাধান করি: প্রধানমন্ত্রী

শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি না করে আপনাদের যদি সমস্যা থাকে আমার কাছে আসবেন। আমি শুনব। মালিকদের কাছ থেকে যদি কিছু আদায় করতে হয় আমি আদায় করে দেব, আমি পারব। এ কথা আমি বলতে পারি।

মহান মে দিবস উপলক্ষে রবিবার (৮ মে) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান এ ইলাহী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

শ্রমিক-মালিক একতা উন্নয়নের নিশ্চয়তা এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এবারের মে দিবস পালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক-মালিকের মধ্যে যদি হৃদতাপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে তাহলে উন্নয়ন সম্ভব হয় না।

শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্যে সরকার প্রধান বলেন, আমরা শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করেছি, তারপরও দেখি দেশে কিছু শ্রমিক নেতা আছেন তারা বিদেশি কোন সাদা চামড়ার লোক দেখলেই তাদের কাছে নালিশ করতে খুব পছন্দ করেন। আমি জানি না, এই মানসিক দৈন্যতাটা কেন? এর সঙ্গে কি অন্য কোন স্বার্থ জড়িত আছে? কোন দেনা-পাওনার ব্যবস্থা আছে? সেটা আমি জানি না।

তিনি বলেন,আমাদের দেশে কোন সমস্যা হলে অন্তত আওয়ামী লীগ সরকার যতক্ষণ ক্ষমতায় আছে, অন্তত আমি যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। যে কোন সমস্যা সমাধান করতে পারি আমরা নিজেরা। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশে শ্রমিক এবং মালিক তারা নিজেরা বসে আলোচনা করে সমস্যা হলে সমাধান করবে। নিজের দেশের বিরুদ্ধে নিজের দেশের সম্পর্কে অন্যের কাছে কেন কাঁদতে যাব? বলতে যাব? আমরা তো এটা চাই না। বাংলাদেশ আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে।

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমাদের সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প। যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প এক সময় বিদেশি অনুদান বা বিদেশি সহযোগিতা নির্ভরশীল ছিল, আজকে আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৯০ ভাগ আমরা নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে পদ্মাসেতু। নিজেদের অর্থায়নে সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের টাকায় পদ্মাসেতু আমরা নির্মাণ করেছি। যদি এটা করতে পারি বাংলাদেশ কেন পারবে না?

দেশের সমস্যা আমরা দেশে সমাধান করব। সেই সমস্ত নেতাদের বলব, আপনারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি না করে আপনাদের যদি সমস্যা থাকে আমার কাছে আসবেন, আমি শুনব। মালিকদের কাছ থেকে যদি কিছু আদায় করতে হয় আমি আদায় করে দেব। আমি পারবো- এ কথা আমি বলতে পারি।ভোরের কাগজ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বিদেশিদের কাছে না গিয়ে আসুন সমাধান করি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৪:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২

শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি না করে আপনাদের যদি সমস্যা থাকে আমার কাছে আসবেন। আমি শুনব। মালিকদের কাছ থেকে যদি কিছু আদায় করতে হয় আমি আদায় করে দেব, আমি পারব। এ কথা আমি বলতে পারি।

মহান মে দিবস উপলক্ষে রবিবার (৮ মে) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান এ ইলাহী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

শ্রমিক-মালিক একতা উন্নয়নের নিশ্চয়তা এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এবারের মে দিবস পালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক-মালিকের মধ্যে যদি হৃদতাপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে তাহলে উন্নয়ন সম্ভব হয় না।

শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্যে সরকার প্রধান বলেন, আমরা শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করেছি, তারপরও দেখি দেশে কিছু শ্রমিক নেতা আছেন তারা বিদেশি কোন সাদা চামড়ার লোক দেখলেই তাদের কাছে নালিশ করতে খুব পছন্দ করেন। আমি জানি না, এই মানসিক দৈন্যতাটা কেন? এর সঙ্গে কি অন্য কোন স্বার্থ জড়িত আছে? কোন দেনা-পাওনার ব্যবস্থা আছে? সেটা আমি জানি না।

তিনি বলেন,আমাদের দেশে কোন সমস্যা হলে অন্তত আওয়ামী লীগ সরকার যতক্ষণ ক্ষমতায় আছে, অন্তত আমি যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। যে কোন সমস্যা সমাধান করতে পারি আমরা নিজেরা। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশে শ্রমিক এবং মালিক তারা নিজেরা বসে আলোচনা করে সমস্যা হলে সমাধান করবে। নিজের দেশের বিরুদ্ধে নিজের দেশের সম্পর্কে অন্যের কাছে কেন কাঁদতে যাব? বলতে যাব? আমরা তো এটা চাই না। বাংলাদেশ আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবে।

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমাদের সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প। যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প এক সময় বিদেশি অনুদান বা বিদেশি সহযোগিতা নির্ভরশীল ছিল, আজকে আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৯০ ভাগ আমরা নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে পদ্মাসেতু। নিজেদের অর্থায়নে সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের টাকায় পদ্মাসেতু আমরা নির্মাণ করেছি। যদি এটা করতে পারি বাংলাদেশ কেন পারবে না?

দেশের সমস্যা আমরা দেশে সমাধান করব। সেই সমস্ত নেতাদের বলব, আপনারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি না করে আপনাদের যদি সমস্যা থাকে আমার কাছে আসবেন, আমি শুনব। মালিকদের কাছ থেকে যদি কিছু আদায় করতে হয় আমি আদায় করে দেব। আমি পারবো- এ কথা আমি বলতে পারি।ভোরের কাগজ