শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত ৬

রাজশাহীতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে নগরীর ভূবনমোহন পার্কে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। হামলায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৬ জন সাংবাদিক আহত হন।

হামলায় আহতরা হলেন- বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল ২৪’ এর ক্যামেরা ম্যান লেলিন, সময় টিভির আব্দুস সালাম, দীপ্ত টিভির ইসলামুল হক, এসএ টিভির আবু সাঈদ, গাজী টিভির খোকন এবং নিউজ ২৪ এর বাপ্পী।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরইউজে। ঘটনার পর পরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলাম এই দাবি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে- বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মহানগর ও জেলা বিএনপির আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সবাবেশ চলাকালে বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটে সবাবেশস্থলে জায়গা দখলকে (বসা) কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবদলের দুই গ্রপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি মারামারির পর্যায়ে রূপ নেয়। এই ঘটনার দৃশ্য ধারণ করতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে গেলে যুবদল ও যুব মহিলা দলেরর বেশ কয়েকজন সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে এই ৬ সাংবাদিক আহত, রক্তাক্ত ও জখম হন। পরে সাংবাদিকদের ওপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে বিএনপির উক্ত কর্মসূচি কাভার বয়কর করে সেখান থেকে চলে যান। সন্ধ্যা ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাংবাদিকরা সমাবেশ বয়কট করে গণকপাড়া মোড়ে অবস্থান করছিলো।

জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ‘

উল্লেখ্য, এই প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তার সামনেই সাংবাদিকদের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শ্রী বিশ্বনাথ সরকার ও মহানগরীর সদস্য সচিব মো. মামুন অর রশিদের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও মহানগরীর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে বুঝতে পারছি না। বিএনপি একটি বৃহৎ দল। ভুলত্রুটি হতেই পারে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আমার ছোট ভাইদের।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

রাজশাহীতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত ৬

প্রকাশিত সময় : ১১:২০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

রাজশাহীতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে নগরীর ভূবনমোহন পার্কে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। হামলায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৬ জন সাংবাদিক আহত হন।

হামলায় আহতরা হলেন- বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল ২৪’ এর ক্যামেরা ম্যান লেলিন, সময় টিভির আব্দুস সালাম, দীপ্ত টিভির ইসলামুল হক, এসএ টিভির আবু সাঈদ, গাজী টিভির খোকন এবং নিউজ ২৪ এর বাপ্পী।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরইউজে। ঘটনার পর পরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলাম এই দাবি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে- বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মহানগর ও জেলা বিএনপির আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সবাবেশ চলাকালে বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটে সবাবেশস্থলে জায়গা দখলকে (বসা) কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবদলের দুই গ্রপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি মারামারির পর্যায়ে রূপ নেয়। এই ঘটনার দৃশ্য ধারণ করতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে গেলে যুবদল ও যুব মহিলা দলেরর বেশ কয়েকজন সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে এই ৬ সাংবাদিক আহত, রক্তাক্ত ও জখম হন। পরে সাংবাদিকদের ওপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে বিএনপির উক্ত কর্মসূচি কাভার বয়কর করে সেখান থেকে চলে যান। সন্ধ্যা ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাংবাদিকরা সমাবেশ বয়কট করে গণকপাড়া মোড়ে অবস্থান করছিলো।

জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ‘

উল্লেখ্য, এই প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। তার সামনেই সাংবাদিকদের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শ্রী বিশ্বনাথ সরকার ও মহানগরীর সদস্য সচিব মো. মামুন অর রশিদের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও মহানগরীর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে বুঝতে পারছি না। বিএনপি একটি বৃহৎ দল। ভুলত্রুটি হতেই পারে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আমার ছোট ভাইদের।’